ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

ঢাবির ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে নজরুল বিষয়ক সেমিনার

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৬ মে ২০২৩, ২২:০৬

ঢাবির ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে নজরুল বিষয়ক সেমিনার
ছবি: প্রতিনিধি

মহাকবি হাফিজের সঙ্গে নজরুলের কালগত ব্যবধান কয়েক শতাব্দীর। হাফিজকে বাংলায় পরিণত ঐশ্বর্য সম্পদে রূপান্তর করেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম। হাফিজের ‘দিওয়ান’ অনুবাদের মধ্য দিয়ে বাংলা সাহিত্যে পারস্যের ‘শারাব-সাকি’ ও প্রেম কাব্যের এক নতুন মাধ্যমের সূচনা হয়। মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আর সি মজুমদার মিলনায়তনে নজরুল বিষয়ক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফাতেমা কাওসারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির।

সেমিনারে নজরুলের নাটক বিচারে সমস্যা এবং নাটক পাঠে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ তৈরির উপরে প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বাংলা বিভাগের প্রভাষক মো. নাজমুল হোসেন। নজরুল প্রতিভা ও নজরুলের অনুবাদের উপরে বিশেষ প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. হোসনে আরা।

নজরুলের নাটক বিচারে নাটকে গানের আধিক্যতার কথা উল্লেখ করে মো. নাজমুল হেসেন বলেন, নজরুল নাটক ও গানের যে মেলবন্ধন তা দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, মাটির মানুষের চাহিদার এক নিদারুণ সামঞ্জস্যতা। নাটকে তৈরিতে নজরুল এক বিপ্লবী ধারা রচনা করেছেন। নজরুলের নাটক তৈরিতে সংস্কৃতির অংশ থেকেও রাজনৈতিক অংশের প্রাধান্য ছিলো উল্লেখযোগ্য। নজরুল কখনো ঐতিহ্যের অন্ধ অনুকরণ করেনি। বরং ঐতিহ্যের সাথে নিদারুণ বুঝাপড়ার মধ্য দিয়েই এগিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। উপনিবেশ বিরোধী নাটক নির্মাণ ছিলো তার নাটকের অন্যতম উপজীব্য।

নজরুলের অনুবাদ শাখায় দক্ষতার কথা উল্লেখ করে ড. হোসনে আরা বলেন, ইরানী কবিদের মধ্যে নজরুল নিজেকে সবচেয়ে বেশি আবিষ্কার করেছেন রুবাইয়াৎ হাফিজ এবং ওমার খৈয়ামকে। শুধু রুবাইয়াৎ হাফিজ বা ওমার খৈয়ামের কবিতা অনুবাদে তাঁর প্রতিভার সমাপ্তি ঘটেনি, কবিদের চিন্তা-চেতনার ধারক-বাহকও ছিলেন তিনি। কবির একাধিক কবিতায় পারস্যের চিন্তা-চেতনার সামঞ্জস্যতা বিরাজমান। তবে ধর্মীয় বিশ্বাস, কবিতার লিখনিতে মেলবন্ধন থাকলেও পারস্যের কবিদের মতো কাজী নজরুল ইসলাম ভোগবাদী ছিলেন না। ‘শারাব-সাকি’ নিয়ে মত্ত থাকার যে প্রচলন তা কবির মাঝে লক্ষণীয় নয়। সেমিনার আরও আলোচনা করেন, রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার ডিপার্টমেন্টের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান লিপন ও ঢাবির ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মুমিত আল রশিদ।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত