কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১১৬তম জন্মদিন আজ

প্রকাশ : ১৯ মে ২০২৩, ১৬:৫৫ | অনলাইন সংস্করণ

  জার্নাল ডেস্ক

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত

প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাসাহিত্যে হয়ে ওঠেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। কথাসাহিত্যে জায়গা করে নেন শ্রেষ্ঠত্বের স্থানে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর পৃথিবীজুড়ে মানবিক মূল্যবোধের চরম সংকটময় সময়ে বাংলা কথাসাহিত্যে যে কয়েকজন লেখকের হাতে নতুন বৈপ্লবিক ধারা সূচিত হয়, তাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। 

মানিক তার ছোট্ট জীবন কালজয়ী  অসংখ্য লেখা রেখে গেছেন। মধ্যবিত্ত সমাজের কৃত্তিমতা, শ্রমজীবী মানুষের সংগ্রাম, নিয়তিবাদ, ফ্রয়েডীয় মনঃসমীক্ষণ, পদ্মানদীর মাঝি, পুতুলনাচের ইতিকথার মতো লেখা এসেছে তার কলমে। তার লেখায় নির্মিত হয়েছে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র।‌ আজ এই প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিকের জন্মদিন।

১৯০৮ সালের ১৯ মে ভারতের বিহারের সাঁওতাল পরগনা, বর্তমান ঝাড়খণ্ড রাজ্যের দুমকা শহরে জন্মগ্রহণ করেন এই লেখক। যদিও তার পৈতৃক বাড়ি বাংলাদেশের বিক্রমপুরে।

কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১১৬ তম জন্মদিন আজ। তার প্রকৃত নাম প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডাকনাম মানিক। ১৯০৮ সালের ১৯শে মে বিহারের সাঁওতাল পরগনা, বর্তমান ঝাড়খণ্ড রাজ্যের দুমকা শহরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। 

১৯২৬ সালে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় মেদিনীপুর জেলা স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় এবং ১৯২৮ সালে বাঁকুড়া ওয়েসলিয় মিশন কলেজ থেকে আইএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে গণিত বিষয়ে অনার্স করেন।

শিক্ষাজীবনে কলকাতার জনপ্রিয় বিচিত্রা পত্রিকা তাঁর প্রথম গল্প ‘অতসী মামী’ পাঠিয়েছিলেন। গল্পের শেষে নাম সাক্ষর করেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় হিসাবে। সম্পাদক উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় লেখাটি পাঠানোর চার মাস পর বিচিত্রায় প্রকাশ করেন। প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই গল্পটি পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করে এবং মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় নামে সাহিত্যাঙ্গনে পরিচিত  হয়ে উঠেন।  এরপর আর তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সাহিত্যচর্চায় মনোনিবেশের ফলে তার একাডেমিক শিক্ষাজীবনের ইতি ঘটে। সাহিত্য রচনাকেই তিনি তার মূল পেশা হিসেবে বেছে নেন।

১৯৪৩ সালে কয়েকমাস একটি সরকারি পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। জীবনের অতি ক্ষুদ্র পরিসরে তিনি রচনা করেন চল্লিশটি উপন্যাস ও তিনশত ছোটোগল্প। তার রচিত পুতুলনাচের ইতিকথা, দিবারাত্রির কাব্য, পদ্মা নদীর মাঝি ইত্যাদি উপন্যাস ও অতসীমামী, প্রাগৈতিহাসিক, ছোটবকুলপুরের যাত্রী ইত্যাদি গল্পসংকলন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্পদ বলে বিবেচিত হয়। ইংরেজি ছাড়াও তার রচনাসমূহ বহু বিদেশি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।

প্রাগৈতিহাসিক, মিহি ও মোটা কাহিনী, সরীসৃপ, বৌ, সমুদ্রের স্বাদ, ভেজাল, হলুদপোড়া, টিকটিকি, হারানের নাতজামাই, আজ কাল পরশুর গল্প, পরিস্থিতি, খতিয়ান, মাটির মাশুল, ছোট বড়, ছোট বকুলপুরের যাত্রী, ফেরিওলা, লাজুকলতা ইত্যাদি। মাত্র ৪৮ বছর বয়সে ১৯৫৬ সালের ৩ ডিসেম্বর বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শক্তিশালী এই কথাসাহিত্যিক মারা যান।

বাংলাদেশ জার্নাল/জিকে