ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম ট্রাইব্যুনালের রায় কেন অবৈধ নয় : হাইকোর্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৩, ১৭:২৯

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ১০৬ শ্রমিকের করা শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের মামলার রায় কেন অবৈধ নয়, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
|আরও খবর
মঙ্গলবার বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর বেঞ্চ এই আদেশ দেন। ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
একইসঙ্গে শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের রায়ের কার্যক্রমে ৬ মাসের জন্য স্থিতিবস্থা থাকবে বলেও আদেশ দেন আদালত।
এদিন আদালতে ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ ও ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। শ্রমিকদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান ও অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী শরীফ।
শুনানি শেষে গোলাম রব্বানী শরীফ বলেন, গত ৩ এপ্রিল ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ কল্যাণ থেকে চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশ পরিশোধ করতে রায় দেন শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল। এ রায় চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ড. ইউনূস।জানা যায়, ২০০৬ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ কল্যাণে কর্মরত ছিলেন ১০৬ কর্মকর্তা ও কর্মচারী। ২০০৬-২০১৩ অর্থবছরে কোম্পানির লভ্যাংশ থেকে তাদের বঞ্চিত করা হয়। শ্রম আইনে বলা আছে, শ্রম আইন কার্যকর হওয়ার দিন থেকে কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের কল্যাণ ও অংশগ্রহণ তহবিল দিতে হবে।
কিন্তু এ লভ্যাংশ না পাওয়ার কারণে প্রথমে শ্রমিকরা গ্রামীণ কল্যাণকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। কিন্তু তাতে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় তারা শ্রম আদালতে মামলা করেন।
এরপর গত ৩ এপ্রিল গ্রামীণ কল্যাণ থেকে চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশ পরিশোধ করতে রায় দেন শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ড. ইউনূস।আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের লিভ টু আপিল খারিজ, মামলা চলবে
বাংলাদেশ জার্নাল/কেএ