ঢাকা, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

ভাবনা যত যাতনা তত

  রাজীব কুমার দাশ

প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২৩, ১৭:৪৬  
আপডেট :
 ২২ নভেম্বর ২০২৩, ১৭:৫৭

ভাবনা যত যাতনা তত
রাজীব কুমার দাশ। ফাইল ছবি

‘ভাবনা যত যাতনা তত’জেনে শুনে বিষপান করার মতো। তবুও সে হলাহল ভাবনার সমান তালে পান করে চলেছি। অক্ষম আক্রোশ নিয়ে দিন গুজরান করি। সাদা সাদা কালা কালা নিজে নিজেকে বলি। ঘরে বাইরে কারোর সাথে সে গান গাইতে পারিনা।

সময়ের সাথে সাথে মানুষের প্রতিবাদের ভাষাও আমূল পাল্টে যায়। পাল্টে যায়,সামন্ত সমান্তরাল ভাবনার জ্যামিতিক হারে কাড়াকাড়ির অদ্ভুত জ্যামিতিক ট্রানজিশনাল মডেল।

দুর্গম যোগাযোগের কারণে হোক কিংবা সর্বস্ব কেড়ে নেয়া সামন্ত রাজা সম্রাট বাদশাহ ডাকাতের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নিরীহ জনগণের পক্ষের শতভাগ ঊন হৃদয়ের কেড়ে নেয়া নির্মমতার ইতিহাস আমাদের পড়ার জন্যে অগ্রজরা লিখেছেন - এমনটা সহজ সরল উর্বরতা ভাবনার শিহরণ ঝড় পাঠক চোখে না দেখাই ভালো।

সে সময়ের ইতিহাসবেত্তা বর্তমান সময়ের মতো- শব্দখোর, বাক্যখোর, চশমখোর ছোগলখোর শিক্ষিত শিল্পিত স্তাবকবেশ্যা হয়ে অনুজদের জন্য যা করে রেখে গেছেন; তা - যা হবার তা হয়ে গেছে। সেটা আর নতুন করে না-ই বা বলি। সে সময়ের নিরীহ ঘরানাকেন্দ্রিক প্রতিবাদহীন সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবি সাধারণ সম্প্রদায় কতোটা ভালো ছিলেন; চোখ বুজে বুদ্ধিজীবি জ্ঞানে না হোক, সমঝদার মনেও চিন্তা করলে ভাংতি পয়সার মতো ঝন ঝন করে বেরিয়ে আসবে।

সে নির্মম মধ্যযুগের হেরেমশাহী খান সম্রাট রাজা বাদশাহী একমাত্র আদেশ:

‘মেনে নাও,দিয়ে দাও, সুন্দরীরা হেরেমের রাণী হয়ে যাও।

যুবকদের কতল কর, শিশুদের বিক্রি

করে দাও না হয় -নিত্য সেবা দাস দাসী বানিয়ে নাও।’

সে সময়ের ইতিহাসবিদ নিমগ্ন থেকেছেন বাদশাহ হেরেম সম্রাটের স্তাবকতা নিয়ে। চামচামি সাহিত্যে হাত পাকিয়ে এটা ওটা উপাধি পেয়েছেন। হেরেম রাজারা জ্ঞাণী গুণি বিজ্ঞানী দার্শনিক সাহিত্যিক কবি তৈরি করতে পারেন নি তাতে কী?

চামচাবাজ ছোগলখোর মহাজ্ঞানী মহাজন যে পথে করেছে গমনে অনুজদের জন্যে ঝাঁক ঝাঁক খোজা নপুংসক মূর্খ স্তাবকবেশ্যাদের রেখে গেছেন।

এই উপমহাদেশের অবস্থাটা হয়েছে এমন,অর্থনীতি সমরনীতি রাজনীতি কূটনীতি প্রেমনীতি গৃহনীতি সবখানেই সেই ই অগ্রজ চামচা স্তাবক বেশ্যা দাদুদের দেখান পথে যে যার মতো হাঁটছেন। স্তাবক সাহিত্যে হাত পাকিয়ে যে যার মতো ক্যারিয়ার গড়ে চলেছেন। সে সময় হয়তোবা অগ্রজ দাদুদের মুণ্ড যাবার ভয় ছিল।

যার জাজ্জ্বল্যমান উদাহরণ: আধুনিক যুগের দাঙ্গা নায়ক নোয়াখালীর গোলাম সারোয়ার। এখন অন্তর্জাল যুগে এসে ও ঘরে বাইরে অফিস আদালতে কল কারখানা নদ নদী সাগর গ্রাম পাখপাখালি মনে নাটক সিনেমা বিনোদন স্বামী স্ত্রী বাসর বিনোদনের চিত্রায়নেও দুয়ে দুয়ে চার হয় মনে দাঙ্গাবাজ গোলাম সারোয়ার হাতের খাপছাড়া তরবারি দেখে দিকে দিকে মেনে নাও মানিয়ে নাও নীতিতে কেউই কেন এগিয়ে আসতে চাইছে না? নতুন মধ্যযুগ মনে উপমহাদেশ কেন্দ্রিক একবিংশ শতাব্দীর অনেক ভাবনার বিষয়।

লেখক: প্রাবন্ধিক ও কবি, পুলিশ পরিদর্শক, বাংলাদেশ পুলিশ।

বাংলাদেশ জার্নাল/আইজে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত