ঢাকা, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

গেইমিং শিল্পকেও আপন করে নিচ্ছে এআই!

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৪, ১৪:৪৬

গেইমিং শিল্পকেও আপন করে নিচ্ছে এআই!
ফাইল ছবি। 

সাম্প্রতিক সময়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এআই-এর ব্যবহার দেখা গেছে প্রযুক্তি খাতের বেশ কিছু শাখায়। তবে, এবার গেইমিং শিল্পের বেলাতেও সম্ভাবনা দেখাচ্ছে উদীয়মান এ প্রযুক্তি।

কম্পিউটার গেইমিং শিল্পে এক যুগ ধরে কাজ করছেন অ্যান্ড্রু ম্যাক্সিনভ। তবে, এই দীর্ঘ অভিজ্ঞতার পরও শীর্ষ গেইমগুলোর নির্মাণ ব্যয় নিয়ে তিনি বিস্মিত।

ম্যাক্সিনভ বলেন, আমি প্লেস্টেশনের জন্য কাজ করতাম। আমার কাজ করা সর্বশেষ গেইমের উৎপাদন খরচ ছিল ২২ কোটি ডলার। এর সঙ্গে বাজার প্রচারণার খরচ যোগ করলে প্রতিটি গেইম তৈরির পেছনে খরচ বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ৫০ কোটি ডলার পর্যন্ত, যা বেশিরভাগ কোম্পানির জন্যেই চ্যালেঞ্জের।

তিনি বিশ্বাস করেন, বাড়তে থাকা এ খরচ কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে এআই প্রযুক্তি, যেখানে বারবার করতে হয় এমন বিভিন্ন কাজ স্বয়ংক্রিয় করে ফেলার মাধ্যমে গেইম নকশাকারীদের অনেক সময় বেঁচে যাবে।

এজন্য ‘প্রমিথিয়ান এআই’ নামে একটি স্টার্টআপ কোম্পানিও প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি, যেখানে গেইম নির্মাতাদের নিজস্ব ভার্চুয়াল জগৎ সাজানোর জন্য বিভিন্ন টুল ব্যবহারের সুযোগ মেলে।

ম্যাক্সিমভ আশা করছেন, এ কোম্পানির মাধ্যমে গেইম তৈরির প্রচলিত ধারা ভেঙে ফেলা সম্ভব।

কখনও কখনও এআই এমন কিছু ধারণা নিয়ে আসে, যা সবাইকে চমকে দেয়।

এদিকে, কম্পিউটার গেইমের বিভিন্ন উপাদান তৈরির জন্য এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে দেখা গেছে ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক সফটওয়্যার কোম্পানি ‘ইনওয়ার্লড’কেও।

কোম্পানিটি এমন এক ইঞ্জিন বানিয়েছে, যা নির্মাতাদেরকে গেইমের জগতে রিয়ালিজম বা বাস্তববাদ ও গেইমের বিভিন্ন চরিত্রের আবেগে বাড়তি গভীরতা যোগ করার সুযোগ দেয়। এ ছাড়া, এআইয়ের মাধ্যমে গেইমের গল্প তৈরির জন্য ‘ন্যারেটিভ গ্রাফ’ নামের একটি ব্যবস্থা নিয়েও কাজ করছে কোম্পানিটি। এজন্য তারা এক্সবক্স-এর সঙ্গেও জোট বেঁধেছে।

কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী কাইলান গিবস বিবিসি’কে বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন, গেইম নির্মাতাদের ‘আগের চেয়েও বড় স্বপ্ন দেখার’ সুযোগ দেবে এআই।

অন্যদিকে, গেইমিং কোম্পানি ‘ল্যাটিচ্যুড ডটআইও’র সিইও নিক ওয়ালটনের মতে, গেইমিং অভিজ্ঞতাকে ‘পার্সোনালাইজ’ করার ক্ষমতা আছে এআইয়ের।

তবে এআই যে মানুষের জায়গা কেড়ে নেবে, এমন বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন ম্যাক্সিমভ। বরং তার বিশ্বাস, এতে করে মানুষের ‘সৃজনশীল মর্যাদা’ বেড়ে যাবে। বিভিন্ন শীর্ষ গেইম প্রকাশক কোম্পানিতে এ বিষয়টি দীর্ঘ দিন আগেই হারিয়ে গেছে, যেখানে নির্মাতাদের খুবই পুনরাবৃত্তিমূলক কাজ ধরিয়ে দেয়া হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত