বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরামের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ মে ২০২৪, ১৩:৫২ আপডেট : ২৭ মে ২০২৪, ১৬:১০
তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) খাতের পেশাদার সাংবাদিকদের নিবন্ধিত সংগঠন বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ) বার্ষিক সাধারণ সভা করেছে। টানা সাড়ে ৫ ঘণ্টাব্যাপী সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত মত প্রকাশের মধ্য দিয়ে সভা শেষ হয়।
সংগঠনের সভাপতি নাজনীন নাহারের সভাপতিত্বে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ভিশন টাওয়ার সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সহসভাপতি ভূঁইয়া মোহাম্মাদ ইনাম লেনিন।
সংগঠনের বার্ষিক সব কার্যক্রম নিয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সাধারণ সম্পাদক সাব্বিন হাসান। নির্বাহী কমিটির নিয়মিত মাসিক সভা, বৈঠকের সিদ্ধান্ত নথিভুক্ত, সব সদস্যের জন্য ডিজিটাল পরিচয়পত্র, নয়টি (৯) সাব কমিটির মাধ্যমে সাংগঠনিক কার্যক্রমকে অংশগ্রহণমূলক করা ছাড়াও ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মতো জাতীয় ইস্যুতে গোলটেবিল ও জনসচেতনতা সৃষ্টিসহ সদস্যদের দক্ষতা উন্নয়নে নেওয়া প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের কথা জানান।
সাধারণ সম্পাদক সাব্বিন হাসান বলেন, চলতি কার্যনির্বাহী কমিটি সংগঠনের যে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আর্থিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও তা যথাসাধ্য ক্যাশলেস করার ক্ষেত্রে কমিটি হতে গৃহীত সব পদক্ষেপ গুরুত্বের সঙ্গে সম্পাদন করেছে। কমিটিতে নবীন-প্রবীণ মিলিয়ে সাতজন (৭) নতুন মুখ ছিল। নিজেদের প্রথম লক্ষ্য ছিল কোষাধ্যক্ষের পদকে সক্রিয়, কার্যকর ও দৃশ্যমান করা। ফলে সাধারণ সদস্যদের কাছে আর্থিক স্বচ্ছ্বতার বিষয়টি সুস্পষ্ট হয়। সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আইডি কার্ডের প্রচলন ও সুযোগ-সুবিধাসহ সংগঠনের নিজস্ব ওয়েবসাইটের উন্নয়নে কাজ করা হয়েছে। সদস্যদের দক্ষতা উন্নয়নসহ ইন্ডাস্ট্রির ইনক্লুশনে বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির উদ্যোগ ও প্রাপ্তীর কথা জানান সাধারণ সম্পাদক।
বিধি অনুযায়ী, এপ্রিল ২০২২ থেকে জুন ২০২৩ সময়ের অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করে কোষাধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম বলেন, হিসাব-নিকাশে যথাসাধ্য স্বচ্ছতা নিশ্চিত করেছি। বর্তমান কমিটি আর্থিক লেনদেনে শতকরা ৯০ ভাগ কার্যরক্রম ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পাদন করেছে। সব ধরনের হিসাব-নিকাশ যথাযথ প্রক্রিয়ায় লিপিবদ্ধ। আর্থিক লেনদেন সমর্থিক সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও প্রমাণাদি সংরক্ষণ করা হয়েছে।
আর্থিক প্রতিবেদনের ওপর আলোচনা শেষে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়। বিদ্যমান নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান এনকে রয় অ্যান্ড কোং দিয়ে পরবর্তী আর্থিক হিসাব নিরীক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়। সভায় দুই তৃতীয়াংশের বেশি সদস্যদের উপস্থিতিতে কণ্ঠভোটে উপস্থাপিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদিত হয়।
সভার শুরুতেই সাংবিধানিক ধারাবাহিতা রক্ষায় কণ্ঠভোটে অ্যাডহক কামিটির করা ২০১৯-২২ বছরের অর্থ প্রতিবেদন পাস করা হয়।
সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করেন সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ। বিবিধ এজেন্ডায় সংগঠনের গঠনতন্ত্র পরিবর্তন ও পরিমার্জনে খোলামেলা মত প্রকাশ করেন সদস্যরা। সংগঠনের স্বার্থ সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়েও সভায় উন্মুক্ত আলোচনায় সদস্যরা অংশ নেন।
সভাপতি নাজনীন নাহার বলেন, বর্তমান নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সব কার্যক্রমে স্বচ্ছ্বতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করেছে। সদস্যদের মত প্রকাশ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে গ্রুপে সমালোচনার সুযোগ ছিল উন্মুক্ত। সংগঠনে যুক্ত হতে আগ্রহী সদস্যদের আবেদন প্রক্রিয়াকে সহজীকরণ করা হয়েছে। সদস্যপদ প্রক্রিয়া ছিল স্বচ্ছ, মতভিত্তিক ও গঠনতান্ত্রিক।
সংগঠনের সব সদস্যকে গুরুত্ব দিয়ে মূল্যায়নে ইসি সচেষ্ট ছিল। কার্যনির্বাহী কমিটির প্রতিটি পদ ও সদস্যকে সক্রিয় ও কার্যকর করাই ছিল লক্ষ্য। বিআইজেএফকে সাংগঠনিকভাবে সংগঠিত ও সুদৃঢ় করতে নিরলস পরিশ্রম করেছে ইসি। ভবিষ্যতে নির্বাহী কমিটিতে যারা আসবেন, তারা যেনো এমনই ধারাবাহিকতা রাখতে পারেন সেই প্রত্যাশাই করছি।
সভায় সদস্যদের জন্য প্রথমবার নির্বাহী কমিটি থেকে ‘কল্যাণ তহবিল’ গঠনে আনীত বিল সর্বসম্মতিতে পাস হওয়ার পর অধিকাংশ সদস্যই দ্বিগুণ হারে বার্ষিক ফি প্রদানে সম্মত হন।
গঠনতন্ত্র হালনাগাদ করতে খসড়া উপস্থাপন করেন সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরমান। গঠনতন্ত্র নিয়ে বিশদ আলোচনা শেষে সদস্যদের মতের ভিত্তিতে আরও পরিমার্জিত আরেকটি খসড়া প্রণয়নে সিদ্ধান্ত হয়।
সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করেন সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ। বিবিধ আলোচ্যসূচিতে সংগঠনের গঠনতন্ত্র পরিবর্তন ও পরিমার্জনে খোলামেলা মত প্রকাশ করেন সদস্যরা। সংগঠনের স্বার্থ সংক্রান্ত বিষয়ে উন্মুক্ত আলোচনা হয়।
সভায় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান, প্রকাশনা ও গবেষণা সম্পাদক আসাদুজ্জামান, কার্যনির্বাহী সদস্য ইমদাদুল হকসহ সংগঠনদের সদস্যরা উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেয়।
বাংলাদেশ জার্নাল/আরএইচ