ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘এরশাদের আমলে পালিয়ে বেড়াতেন আমানুল্লাহ কবীর’

‘এরশাদের আমলে পালিয়ে বেড়াতেন আমানুল্লাহ কবীর’

আমানুল্লাহ কবীর বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অনেক দৈনিক পত্রিকায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। প্রায় পাঁচ দশক ধরে সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছেন।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

বুধবার ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তার জানাজায় অংশ দিয়েছিলেনন তার সাবেক সহকর্মী ও বন্ধু আরেক জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলছিলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আগে পাকিস্তান আমলের একেবারে শেষের দিকে সাংবাদিকতায় আসেন আমানুল্লাহ কবীর। তার সাংবাদিকতা শুরু ‘পিপল’ নামের একটি পত্রিকা দিয়ে।

রিয়াজউদ্দিন আহমেদ তাকে স্মরণ করতে গিয়ে বলছিলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ যেদিন পাকিস্তান সেনাবাহিনী নৃশংস হামলা চালিয়েছিল, সেদিন পিপল পত্রিকার অফিস পুরো তছনছ করে দিয়েছিলো পাকিস্তান আর্মি। এরপর তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।’

সাংবাদিক নেতা হিসেবে সেনা শাসক এরশাদের আমলে বেশ চাপের মুখে পড়তে হয়েছে এই জ্যেষ্ঠ সাংবাদিককে।

রিয়াজউদ্দিন আহমেদ বলছেন, ‘এরশাদ সাহেবের সময়ে অনেক হুমকি সহ্য করতে হয়েছে তাকে, আমাকেও। সেই সময়ে নিরাপত্তার কারণে তাকে অনেক সময় পালিয়ে থাকতে হতো।’

বার্তা সম্পাদক হিসেবে তাকে অনন্য, অমায়িক এবং আপোষহীন এক সাংবাদিক হিসেবে বর্ণনা করেন রিয়াজউদ্দীন আহমেদ।

সাংবাদিকদের ইউনিয়ন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন সেক্রেটারি ছিলেন তিনি। বাংলাদেশের সকল গুরুত্বপূর্ণ কাগজে তার বিশেষ ভূমিকা ছিল। মূলত ইংরেজি কাগজেই কাজ করতেন তিনি।

দেশের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ইংরেজি কাগজ ‘দ্য ডেইলি স্টার’র প্রথম বার্তা সম্পাদক ছিলেন আমানুল্লাহ কবীর।

রিয়াজউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘ডেইলি স্টার যখন প্রথম বের হল, যখন পাতা মেকআপ করে তিনি নিয়ে আসলেন, কাগজটির প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক এসএম আলী সাহেব খুবই ইমপ্রেসড হয়েছিলেন।’

আমানুল্লাহ কবীর মারা যাওয়ার সময় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জ্যেষ্ঠ সম্পাদক ছিলেন।

বাংলাদেশের এক সময়কারগুরুত্বপূর্ণ কাগজগুলোর একটি নিউ নেশনের বার্তা সম্পাদক ছিলেন তিনি। কাজ করেছেন ‘টেলিগ্রাফ’ পত্রিকায়। ‘ডেইলি ইন্ডিপেন্ডেন্ট’ পত্রিকার শুরুর দিকের নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। তার সম্পাদনায় বের হয়েছিলো দৈনিক ‘আমার দেশ’পত্রিকাটি।

আমানুল্লাহ কবীরের জন্ম ১৯৪৭ সালের ২৪ জানুয়ারি জামালপুরে। তিনি বেশ কিছুদিন যাবত লিভার, হার্ট, কিডনি ও ডায়াবেটিস জনিত শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত