ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

পিআইবির মহাপরিচালক শাহ আলমগীর আর নেই

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১০:৪৮  
আপডেট :
 ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১০:৫৫

পিআইবির মহাপরিচালক শাহ আলমগীর আর নেই

প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক মো. শাহ আলমগীর মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহ…রাজেউন)। বৃহস্পতিবার সকালে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

পারিবারিক সূত্রে এ খবর জানা গেছে। সিনিয়র এই সাংবাদিকের মরদেহ প্রথমে রাজধানীর উত্তরায় তার বাসভবনে নেয়া হবে। সেখান থেকে প্রেসক্লাব ও তার কর্মস্থল পিআইবিতে নেয়া হবে বলে জানা গেছে।

শাহ আলমগীরের রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়া ও ডায়াবেটিসসহ নানা ধরনের শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়েছিল। অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে আইসিইউতে স্থানান্তর ও পরে লাইফসাপোর্টে রাখা হয়েছিল তাকে।

শাহ আলমগীর ২০১৩ সালের ৭ জুলাই পিআইবির মহাপরিচালক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। সরকার ২০১৮ সালের জুলাই মাসে তার চাকরির মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ায়।

শাহ আলমগীরের সাংবাদিকতা পেশার শুরু ছাত্রজীবন থেকেই। উপমহাদেশের প্রথম শিশু-কিশোর সাপ্তাহিক ‘কিশোর বাংলা’ পত্রিকায় যোগদানের মাধ্যমে তিনি সাংবাদিকতা জীবন শুরু করেন। সেখানে তিনি সহ-সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত।

এরপর তিনি কাজ করেন দৈনিক জনতা, বাংলার বাণী, আজাদ ও সংবাদে। প্রথম আলো প্রকাশের সময় থেকেই তিনি পত্রিকাটির সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং ১৯৯৮ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত যুগ্ম বার্তা-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি টেলিভিশন মিডিয়ায় কাজ শুরু করেন।

চ্যানেল আই এর প্রধান বার্তা সম্পাদক, একুশে টেলিভিশনে হেড অব নিউজ, যমুনা টেলিভিশনে পরিচালক (বার্তা) এবং মাছরাঙা টেলিভিশনে বার্তা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি শাহ আলমগীর ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি শিশু কল্যাণ পরিষদ এবং শিশু ও কিশোরদের জাতীয় প্রতিষ্ঠান ‘চাদের হাট’র সভাপতির দায়িত্বও পালন করছেন। তিনি বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। পিআইবিতে যোগদানের পূর্বে তিনি সর্বশেষ এশিয়ান টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ‘কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ সাহিত্য পুরস্কার ২০০৬, ‘চন্দ্রাবতী স্বর্ণপদক ২০০৫ ’, ‘রোটারি ঢাকা সাউথ ভকেশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০০৪’ এবং ‘কুমিল্লা যুব সমিতি অ্যাওয়ার্ড ২০০৪’ পেয়েছিলেন।

শাহ আলমগীরের পৈতৃক বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে হলেও বাবার চাকরি সূত্রে বৃহত্তর ময়মনসিংহে জীবনের বড় একটি সময় কাটে তার। ময়মনসিংহের গৌরীপুর কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাংলা সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স করেন।

পারিবারিক জীবনে শাহ আলমগীর এক পুত্র ও কন্যা সন্তানের জনক। তার স্ত্রী ফৌজিয়া বেগম একটি ওষুধ কোম্পানিতে কাজ করেন। ছেলে আশিকুল আলম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে বিবিএ পাস করে কাজ করছেন এইচএসবিসি ব্যাংকে। মেয়ে অর্চি অনন্যা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইইউবিতে সাংবাদিকতা বিষয়ে পড়াশোনা করছেন।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত