ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

নিখোঁজ সাংবাদিক মুশফিককে পাওয়া গেছে

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০১৯, ১১:২৫  
আপডেট :
 ০৬ আগস্ট ২০১৯, ১১:২৯

নিখোঁজ সাংবাদিক মুশফিককে পাওয়া গেছে

গুলশান থেকে নিখোঁজ মোহনা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার মুশফিকুর রহমানকে আহত অবস্থায় সুনামগঞ্জের গোবিন্দপুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার গৌবিনপুর গ্রাম থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের গোবিন্দপুর এলাকার সড়কে মুশফিকুরকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা একটি মসজিদে নিয়ে যান। পরে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেয়।

মুশফিকুর রহমান জানান, গত শনিবার গুলশান এলাকা থেকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তার চোখের মধ্যে হঠাৎ তরল কিছু একটা ছিটিয়ে অজ্ঞান করে তাকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর আর কিছুই বলতে পারেননি তিনি। মঙ্গলবার ভোরে একটি গাড়ি থেকে তাকে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের গোবিন্দপুর এলাকায় ফেলে গেলে তিনি সেখানেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকেন।

তিনি আরো জানান, দুর্বৃত্তরা তাকে শেষ ইচ্ছার কথা জানতে চান, তিনি তখন তার মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে চান। এরপর দুর্বৃত্তরা জানতে চায়, তিনি কীভাবে মরতে চান—গুলি খেয়ে নাকি গলা টিপে। কথা বলার সময় বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছিলেন মুশফিক।

সুনামগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জিন্নাত হোসেন বলেন, মুশফিকুরের সঙ্গে থাকা পরিচয়পত্র দেখে এবং ঢাকায় তার পরিবার ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি যে উনি নিখোঁজ হওয়া সাংবাদিক মুশফিকুর রহমান। ঢাকায় তার পরিবার ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা এলে তাকে হস্তান্তর করা হবে।

পুলিশ জানান, মুশফিকুর রহমানের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। তবে তাঁকে মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।

এদিকে, গত শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন সাংবাদিক মুশফিকুর। ঢাকার গুলশানে মামার সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না বলে অভিযোগ করে তার পরিবার। এ ঘটনায় শনিবার রাতে গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার মামা এজাবুল হক।

মুশফিকের পরিবারের দাবি, গত ২১ জুলাই একটি অজ্ঞাত নম্বর থেকে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছিল। ২২ জুলাই জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে রাজধানীর পল্লবী থানায় জিডি করেছিলেন তিনি।

আরএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত