চাকরি ছেড়ে সন্ন্যাস ছেলে, বিচার চাইতে আদালতে বাবা-মা

সন্তানের পড়াশোনা কিংবা ভবিষ্যৎ তৈরির ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের ভূমিকার কথা বলা বাহুল্য। কিন্তু এসবের পরেও বার্ধক্যে এসে অসহায় পরিস্থিতির মুখে পড়েন অনেক বাবা-মা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, সন্তান বড় হয়ে ভুলে যান তাদের কৃতজ্ঞতার কথা। কিন্তু এবারের ঘটনাটি একটু ভিন্ন ধরণের।

ভারতের আমেদাবাদে মোটা বেতনের চাকরি ছেড়ে সন্ন্যাস হয়েছেন ধর্মেশ গোল নামের এক ব্যক্তি। এর ফলে সংসারবিমুখ হয়ে পড়েন তিনি। ঘরে রোজগার করার অন্য কোনো সদস্য না থাকায় আর্থিক অনটনে পড়েন ধর্মেশের বাবা-মা। এই পরিস্থিতিতে দেখভালের দাবিতে সন্তানের বিরুদ্ধেই আদালতে অভিযোগ দায়ের করলেন বাবা-মা।

হিট স্ট্রোক ছাড়াও তাপপ্রবাহে কঠিন রোগের ঝুঁকি

ফার্মাসিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে ভাল চাকরিতেও যোগ দিয়েছিলেন ধর্মেশ। কিন্তু চাকরিতে তার মন বসলো না। তাই বার্ষিক সাত লক্ষ টাকারও বেশি প্যাকেজের চাকরি ছেড়ে সন্ন্যাস গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। এতে করে তার বৃদ্ধ বাবা-মা এবং তাদের বিশেষভাবে সক্ষমতা সংসারে আর্থিক সমস্যার তৈরি হয়েছে।

যদিও বর্তমানে ধর্মেশ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বক্তৃতা দিয়ে মাসে এক লক্ষ টাকার কাছাকাছি আয় করেন। তবুও বাবা-মায়ের দেখভালের জন্য কোনো দায়িত্বই পালন করেন না তিনি।

অথচ ধর্মেশের বাবা-মা দাবি করেছেন, তাদের সন্তানের পড়াশোনার জন্য সমস্ত সঞ্চিত অর্থ তারা খরচ করে ফেলেছেন। আনুমানিক ৩৫ লক্ষ টাকার কথা জানিয়েছেন তারা। অগত্যা উপায় না দেখে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন তারা।

ধর্মেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে দেখভাল বাবদ ৫০,০০০ টাকা দাবি করেছেন তার বাবা-মা। যদিও আদালতের পক্ষে জানানো হয়েছে, সন্তান হিসেবে বাবা-মায়ের দেখভাল করা তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। সন্তান কোনোভাবেই এই দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন না।

বাবা-মায়ের অসহায় পরিস্থিতির কথা অনুমান করে আদালত মাসিক ১০,০০০ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ধর্মেশকে।

এছাড়া তাদের কথায়, দেখভাল বাবদ খরচ এতটাও বেশি হওয়া উচিত নয় যে, তা সন্তানের কাছে শাস্তি বলে মনে হয়। আবার এতটা কম হওয়াও উচিত নয়, যা বাবা-মায়ের রক্ষণাবেক্ষণে বাধার সৃষ্টি হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে