শিক্ষকদের চাপে রেখে মানসম্মত শিক্ষা সম্ভব নয়
জামিল বাসার
প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০১৯, ১৫:২৪
যে কোনো কিছুই শিখতে হলে ওস্তাদের কাছে গিয়েই শিখতে হয়, গুরুশিষ্যের এই সম্পর্ক যত মধুর হয়, শিক্ষা কার্যক্রম ততই ফলপ্রসূ হয়। হোক সেটা একাডেমিক শিক্ষা বা অন্য কিছু। জ্ঞানদান এবং জ্ঞানার্জন দুটি কর্ম সম্পাদনের জন্য চাই স্বাধীন পরিবেশ। ছাত্র-শিক্ষকের মাঝে মধুর সম্পর্ক এবং বাধাহীন যোগাযোগ স্থাপন হলেই প্রকৃত শিক্ষার দ্বার উন্মুক্ত হয়।
অতীত ইতিহাসও তাই বলে, চাপ প্রয়োগে নয় ছাত্র শিক্ষকের স্বাধীনভাবে জ্ঞানার্জনের সু্যোগ থাকলেই প্রকৃত শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী তৈরি হবে।
বর্তমানের শিক্ষা ব্যবস্থা উপলব্ধি করেছে যে, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিতে বিদ্যালয়কে শিক্ষার্থীদের ভালোলাগার মত করে সাজিয়ে তুলতে হবে। শারীরিক নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। বিদ্যালয়কে শিশুদের মনের মতো করে গড়ে তুলতে হবে, বর্তমান সরকার সে লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার গুনগত মানোন্নয়নে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবীদার। তবে মনে রাখতে শুধুমাত্র শিক্ষকদের চাপ দিয়ে সেই গুনগত /মানসম্মত শিক্ষা অর্জন সম্ভব নয়।
শিক্ষার গুনগত মানোন্নয়নে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা শিক্ষকদের,সেই শিক্ষকদের জীবনমান উন্নত করতে ব্যর্থ হলে মানসম্মত শিক্ষা অধরাই থেকে যাবে। তাদের প্রাপ্য সম্মানটুকু না দিয়ে,শুধুমাত্র পরিপত্রের কয়েকটি লাইনে তাদের হাত পা বেঁধে রাখবার চেষ্টা করলে,পজিটিভ এর চেয়ে নেগেটিভ রেজাল্টই বেশি আসবে।
মানসম্মত যুগোপযোগী শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষদের চাপমুক্ত রাখতে হবে, অবসর সময়ে গবেষণা করার সুযোগ দিতে হবে। রাষ্ট্রীয় বা অন্যান্য দাপ্তরিক কাজ থেকে শিক্ষকদের মুক্তি দিতে হবে। আমার মনে হয় এসব করতে পারলে মানসম্মত যুগোপযোগী শিক্ষা নিয়ে এতো ঘাম ঝরাতে হবে না। তাই বলি কি,চাপ প্রয়োগে নয় শিক্ষকদের আন্তরিকতায় পারে মানসম্মত যুগোপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা উপহার দিতে।
লেখক: সহকারী শিক্ষক বওলা স.প্রা.বি. ধনবাড়ি, টাংগাইল।