হারুনর রশীদের তিন কবিতা
শিল্প-সাহিত্য ডেস্ক
প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২১, ২১:১৬
।। একবুক মধুমতি ।।
তুমি রং লাগিয়ে দাও চিবুক জুড়ে
মেঘেরাও হাসবে ভাঁটফুলের সাথে
শুধু জলের সাঁতার শিখলেই নদীকে রংবাজ বানাতাম।
নিন্দুকের কপালে ঘামের মুক্তোদানা দেখে
অনেকদিন হেসেছি জুঁইফুলের সাথে
যেখানে লাগানো ছিলো দোপাটিফুলের গাছ
সেখানেও সাপ আসে বর্ণিল রং মেখে।
একদিন বার্জার কোম্পানিতে দেখলাম রংয়ের দুনিয়া।
সেই থেকে মানুষের মনের রং ভুলে যেতে লাগলাম।
দূর থেকে আকাশের রংটা বুঝতে পারি না বলে
নীলকণ্ঠ ফুলকে বারবার দেখি।
ভেবে নেই সবুজ পাহাড় কি করে
ধূসর বেদনায় জড়িয়ে রাখে জোছনার মায়া!
।। সৌখিন চুম্বন ।।
জীবনকে নির্মাণ করতে চেয়ে-
চোখের জায়গায় বসিয়েছি বিফলা যৌবন
কলঙ্কের উদ্যানে প্লাবিত রাত্রির ছায়ায় বারবার গাঁথি নিস্ফলা ফুলের মালা। ক্ষীণ দুর্বল ভেবে যারা ফেলে গেছে শূন্য মৌসুম, তারাও টলটলে আঁধারে খোঁজে কষ্টের অনুপম শৈশব।
সবটুকু ভুলে গিয়ে, মনেরেখ মখমল বিচ্ছেদ
আমার করুণ নিবেদন, অন্তঃস্থলে রেখে দিও হলুদ জোছনার মায়া। দীর্ঘশ্বাসের ছায়া পুড়ে গেলে, বিলাসিতায় জড়াবো সৌখিন চুম্বন।
প্রিয়তমার কালো চোখ, কখনোই সাজেনি কাজলের কারুকার্যে। ভীষণ স্রোতের তোড়ে ভেসে গেলে নিদারুণ সময়, আমি তাকে প্রস্থান বলি না।
।। ভুল ঠিকানা ।।
লুট হওয়া সেইসব বিকেল আমি আর পাই না। হারিয়ে যাওয়া বেগুনি রোদের মতো নীলাকাশ কোথাও নাই। কোথায় যেনো পুড়ছে তুষের আগুন, দুঃখের অতীত। কেন যে চলে এলাম কামরাঙা বিকেলটি ফেলে..!
বুকের দরজায় কেউ উঁকি দিলে অকস্মাৎ, ভেবে নেই বসন্ত চলছে রাজপথে। জবাফুলের পাপড়িতে লিখে দেই লাল-নীল আকাশ। তারপর পাখিদের ঠোঁটে চুমু দিয়ে পাঠাই ভুল ঠিকানায়!
হারানো নদীর বাঁক নিচ্ছে কেড়ে বাটপার যৌবন। ঘুমন্ত ঝাউবনে দোল খায় প্রেয়সীর নুপুর। নক্ষত্রদের সাথে আমিও ঝরে পড়ি মিহি রাতের আঁধারে!
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে