গণতন্ত্র

প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০২৩, ১৫:৫৪ | অনলাইন সংস্করণ

  রাজীব কুমার দাশ

কবি ও লেখক রাজীব কুমার দাশ। ফাইল ছবি

একদিন প্রেমের দ্বিপ্রহরে জেগে উঠে দেখি
আমার হিমালয় হৃদয়ে
বিশ্বাসের চাইগুলো গলে গলে অবিশ্বাসের খরস্রোতা নদীতে তলিয়ে গেছে

এদিকে ওদিকে চারিদিকে তাকিয়ে দেখি
পড়ে আছে
সারি সারি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী যুদ্ধংদেহী শেরপা
শান্তিং দেহী গণতন্ত্রী ছিন্নভিন্ন লাশ।

গাধা ঘোড়া সংকরায়ন খচ্চর প্রজাতি
প্রাণীটি জন্মেছে যেইদিন -
মিউল হিনি বাঁজা খচ্চর নিজের স্বীকৃতি আদায় অধিকারে অক্ষম
প্রজাতি হারা হৃদয়ে -অব দ্য পিপল বাই দ্য পিপল ফর দ্য পিপল
গণতন্ত্র মনে প্রাণীটি চিৎকার করে ধড়িবাজ
মানব মনিবের কাছে স্বীকৃতি পেতে
কত কত স্তাবক রাজনীতির সুরে সুরে
গান ধরে বলেছে -
বড় ভাই বড় বোন আমাদের গার্জিয়ান,
দয়া করে চির অধম খচ্চর অবলা প্রাণীটির স্বীকৃতি দিন। '

কে শুনবে কথা? কার কথা? কীসের কথা?
নীতিকথা? সবই তো প্রগলভতা
গণতন্ত্রী সংকরায়ন খচ্চরের কথা?
শোন - বোকা শালা! 
নিজের পয়দা বুঝিস? চুদির ব্যাটা। 

গণতন্ত্রী খচ্চর প্রজাতি হিমালয় অসহায় হৃদয়ে তাকিয়ে
শূন্যতায় পূর্ণতা পানে কেড়ে নেয়া বিশ্বাসপানে
অবিশ্বাসের দখলে নেয়া হৃদয় মনে
বলেছে

- স্যার, বড় ভাই, বড় আপা  আমাদের বাঁচার উপায়?

একমাত্র উপায় একটি আছে
- জ্বী হুজুর? তাড়াতাড়ি বলিয়েন।

এখনও বুঝলি না! গণতন্ত্রী খচ্চর।

গণতন্ত্র মানে - সামনে পেছনে না তাকিয়ে  নিরাপদ দুরত্ব মেপে
সংবিধান স্নাইপার রাইফেল ট্রিগার হাতে মোক্ষম সুযোগের ধুরন্ধর হরিণ শিকারি স্তাবক সফল হাসিই গণতন্ত্রী জীবন।

গণতন্ত্রের ভাষায় খচ্চর মুখে হাসির ঝিলিক বইছে
গর্দভ খচ্চরের দল এইবার রাজতন্ত্র স্বৈরতন্ত্রের হুংকার বন্দুক কামান শব্দের নতজানু
বিষ্ফোরণ ঠেকিয়ে  দিকে দিকে বলছে -
জেলের তালা ভাঙবো অমুক সমুক তমুক ভাইকে ফিরিয়ে আনবো
রাজতন্ত্র স্বৈরতন্ত্র নিপাত যাক গণতস্ত্র
মুক্তি পাক।

মেয়াদ উত্তীর্ণ গণতন্ত্রে  তিড়িং বিড়িং লাফালাফি বাড়াবাড়ি কাড়াকাড়ি আর ছুটাছুটি শেষে
রাজতন্ত্রের সিংহদুয়ার ললাট এইবার খুলে গেছে।

দিকে দিকে সুযোগের সামরিক ছাউনি পুলিশ ষ্টেশন বসিয়ে তুলে দিয়েছে নিয়মের ব্যারিকেড
গণ মুখে শ্যেনদৃষ্টি বুকে শনৈঃ শনৈঃ মনে জেঁকে বসেছে আরামতন্ত্র তাপানুকূল
সংসদ।

গণতন্ত্রের ঠাণ্ডা গরম বাতাসে সরব নীরবে চালিয়েছে যে যার মতো রক্তচোষা ভাম্পায়ার লুটপাট সেরে
কাড়াকাড়ি মারামারি করে গিলছে ব্যাংক বীমা
খেয়ে ফেলেছে রাষ্ট্রযন্ত্রের পার্সেন্ট
বানিয়েছে শিশুদের নির্বোধ করছে
চুরি জাতির সোনা রোদ
খুলে ফেলছে  মুখে খই ফোটা অসাড় গণতন্ত্রী হৃদয়ের অবশিষ্ট মান ইজ্জত।

বুঝলি এইবার নির্বোধ গণতন্ত্রী ঘোড়া গাধি সংকর খচ্চর?
হ্যাঁ, বুঝছি তো
- কী বুঝছ বলো একবার?
হাছা কমু না মিছাই কমু স্যার?
- এখন হাছাই কইবা,ভরা পেটে মিছার
নাই দরকার।
তাহলে হাছাই কই
- কও
অনিশ্চিত জগাখিচুড়ি গণতন্ত্রের পাগলা
ঘোড়া
আমার গাধি মা খচ্চরের স্বামী জোর যার
মুল্লুক তার ভণ্ড নীতির
আপসকামী 
পিরিতির আদি বুড়া লুলা গণতন্ত্রকামী প্রথম বাপটাকে পিটান দরকার এখন।

লেখক: প্রাবন্ধিক ও কবি এবং পুলিশ পরিদর্শক, বাংলাদেশ পুলিশ

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে