কচা কিছু মনে করিনি
রাজীব কুমার দাশ
প্রকাশ : ২১ মে ২০২৩, ১৭:১১ আপডেট : ২১ মে ২০২৩, ১৭:১৬

হৃদয় দেবে বলে কাছে টেনেছিল কচা নদী ঠিক যেমন যেভাবে সর্বস্ব কেড়ে নিতে কথা দেয় সামন্তপুত্র-পুত্রী দল সেইভাবে আমায়ও কথা দিয়েছিল নীরবে স্মিতহাস্যে বয়ে চলা কচা নদী
একদিন দেখি কচার বুকে আমি ভাসছি
ফুলে গেছে ক্ষুধার রাজ্যে গদ্যময় কবিতার পেট
ক'টা পংক্তি নাড়িভূঁড়ি
রয়ে গেছে পেটে কোনো এক মহীয়সীর অনাথ দয়া মনে
ছুঁড়ে দেয়া ওয়ানটাইম পাত্রের কিছু খাবার
ঠিক যেমন- সঙ্গ নিরোধ আত্মীয় অনাত্মীয় মনে
মরার পরে অদৃশ্য আত্মার উদ্দেশ্যে মায়াকান্না মনে
পেছনে না তাকিয়ে ডালি দেয়া কিছু সুস্বাদু আহার।কচার বুকে ফুলে গেছে আমার দুটি চোখ
যে চোখে ভালোবেসে দেখেছি
কচার হরিণী চোখ
অনুভব সৌরভে দৌড়ে খুঁজেছি সুগন্ধি মাখা কস্তুরি ঘ্রাণ
আলতো ছোঁয়াতে করেছি কাঁচা হলুদ
দুধ আলতা বাটা
মাখো মাখো সুখে সোনালু ফুলে বরণ
সে চোখে দেখছি এখন -যমালয় শিবালয় অনন্তকোটি ব্রম্মাণ্ড সাগর মহাসাগর।কচার বুকে ভাসছি এখনও এখন
উদ্ধারে এগিয়ে আসেনি স্হলজ মানুষ নামের কোনো প্রাণী
আসেনি থানা পুলিশ ভরসার ভানভাসি জলে
কই মাগুর শিং রাঙা পুঁটি ধরা সুবিধেবাদী পাতি মাঝারি সাংবাদিক
ছোট বড় নেতা আসেনি আত্মীয় স্বজন।কথার কথা দেয়া কথা নদী কচাতে
বিবর্ণ হয়েছে আমার অধর গ্রীবা চিবুক
ঘাড়ে পিঠে নেই কালসিটে দাগ
খায়নি -তুলতুলে নরম দুটি গাল ঠোঁট শিশ্নহৃদয়টা খুলে দেখতে চায়নি জলজ প্রজাতি প্রাণী।
মনটাকে নিয়ে খেলেছে সময়ের সুবিধেবাদী কচা নদী সময় পুত্রীর অট্টহাস্যে বাঁচতে চেয়ে হয়েছি ডিমেনশিয়া রোগী
মর্গের কফিনে কান্নাখেকো কস্টে শুয়ে আছে
তুমি হারা কচা পানে চেয়ে থাকা
আমি নামের একটি অতৃপ্ত হৃদয়।সময়ের কচা কস্টে কিছু মনে করিনি সনাতনী হাতুড়ি বাটাল ভোঁতা করাত পোস্ট মর্টেম কস্টেও কিছু মনে করিনি
কচা - বিশ্বাস করো ‘আমি কিছু মনে করিনি।’
২১ মে ২০২৩
লেখক: প্রাবন্ধিক ও কবি, পুলিশ পরিদর্শক,বাংলাদেশ পুলিশ। মেইল[email protected]
বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে