ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১০ মিনিট আগে
শিরোনাম

সাহেদসহ ৫ জনকে আসামি করে মামলার অনুমোদন

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৬:৩২

সাহেদসহ ৫ জনকে আসামি করে মামলার অনুমোদন

রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক আমিনুল হাসানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের নাম আসামির তালিকায় নেই।

বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী বাদী হয়ে মামলা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত বলেন, অনুসন্ধানে যাদের বিরুদ্ধে আদালতের প্রমাণযোগ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে, তাদের আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনুসন্ধান কর্মকর্তা যাদের বিরুদ্ধে সরাসরি প্রমাণ পেয়েছেন, তাদের আসামি করা হয়েছে। তবে এখানেই শেষ নয়, মামলা তদন্তে যদি আরো কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় তাদের চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

মামলার আসামিরা হলেন- রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. শফিউর রহমান এবং গবেষণা কর্মকর্তা ডা. দিদারুল ইসলাম।

অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়নবিহীন বন্ধ রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, মেমারেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং সম্পাদন ও সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে ৩ হাজার ৯৩৯ জন কোভিড রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করিয়েছেন। যেখান থেকে অবৈধ পারিতোষক বাবদ রোগী প্রতি ৩৫০০ টাকা হিসেবে মোট এক কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা নেয়া হয়েছে।

এছাড়া অনুসন্ধান প্রতিবেদনে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স , ওয়ার্ডবয় ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের খাবার খরচ বরাদ্দের বিষয়ে ১ কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার মাসিক চাহিদা তুলে ধরাসহ এর খসড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে- সাহেদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, আয়কর ফাঁকি, ভুয়া নাম ও পরিচয়ে ব্যাংক ঋণ গ্রহণ করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক।

রিজেন্ট হাসপাতালের নামে এনআরবি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে দেড় কোটি টাকা ও ফারমার্স ব্যাংক থেকে ১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাহেদসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে পৃথক অভিযোগে দুটি মামলা করে দুদক।

আরো পড়ুন

বিদ্যুৎ বিলও দিতেন না সাহেদ​

নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেন সাহেদ​

র‌্যাবকে যা বলেছেন প্রতারক সাহেদ​

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত