ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২০ মিনিট আগে
শিরোনাম

গার্মেন্টস কর্মীর ছদ্মবেশে ছিলেন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২২, ১৮:১৯

গার্মেন্টস কর্মীর ছদ্মবেশে ছিলেন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের চাঞ্চল্যকর হালিম খান হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মবজেলকে (৩৩) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার ধামরাই থানাধীন ইসলামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক ডিআইজি মোজাম্মেল হক জানান, গ্রেপ্তার মবজেল এবং মামলার অন্য তিনজন আসামী সবাই এলাকার বখাটে স্বভাবের ছিল। হত্যার শিকার হালিম খান (৩০) মানিকগঞ্জ সদর ও হরিরামপুর এলাকায় ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন।

পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ি ২০১৪ সালের ১৪ মার্চ মবজেল ও সমির মানিকগঞ্জ সদরের বলড়া এলাকা থেকে হরিরামপুর উপজেলায় ওয়াজ-মাহ্ফিলে যাওয়ার কথা বলে হালিমের মোটরসাইকেল ভাড়া করে।

এরপর ওয়াজ মাহফিল শুনে হালিমের মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা বলে হালিমকে অপেক্ষা করাতে থাকে। গভীর রাতে মবজেল ও ছমির হালিমের মোটরসাইকেলে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। হরিরামপুর সদর থানা থেকে কিছুদূর আসার পর আগে থেকে অপেক্ষারত হত্যার মামলার আসামীরা পথ রোধ করে হালিমের গাড়ি থামায়।

এরপর হালিমের মুখ চেপে ধরে জোর করে মবজেলসহ আসামীরা ধরে পদ্মা নদীর চরে নিয়ে যায় এবং গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য তারা হালিমের হাতের ও পায়ের রগ কেটে দেয়। লাশ পদ্মার চরে ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে রেখে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায় তারা।

পুলিশ ২০১৪ সালের ১৮ মার্চ আসামী সমিরকে হালিমের মোটরসাইকেলসহ আটক করে এবং সমিরের স্বীকারোক্তি মোতাবেক হরিরামপুর থানার অদূরে পদ্মা নদীর চরে ঝোঁপের মধ্য হতে হালিমের মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় হালিমের স্ত্রী ফরিদা বাদী হয়ে মবজেল ও তিনজন আসামীর বিরুদ্ধে হরিরামপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করে। পুলিশ তদন্ত করে আদালতে চূড়ান্ত চার্জশিট দেয়। ২০১৭ সালের দিকে আদালত পলাতক থাকা অবস্থায় মবজেলকে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অপরাধে যাবজ্জীবন সাজা দেন।

তিনি আরও জানান, গত ৮ বছর ধরে আসামী মবজেল ঢাকার সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইসহ বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করেছিলেন। প্রথমদিকে তিনি ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকের কাজ করতেন। কিছুদিন আগে সে ধামরাই থানাধীন ইসলামপুরের একটি গার্মেন্টসে পোশাক শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত