প্রধানমন্ত্রীকে প্রাথমিক শিক্ষকের খোলা চিঠি
মুহাম্মদ মাহবুবর রহমান
প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০১৯, ১৮:২৬
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আসসালামু আলাইকুম। আপনার স্বপ্ন ছিল প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক হওয়া। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের ঘোষণা (ভাষণ নং -৪৮১,৫৪৭; ০৯/০৩/২০১৪ ও ১৯/ ১০/২০১৪ তারিখ) প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণি (তৎকালীন) ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিদর্শনের সময় সহকারী শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসনের নির্দেশনা দেওয়ার প্রায় ছয় বছর হয়ে গেছে। কিন্তু তারপরও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হওয়ায় প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড ও সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে গত ২৩ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন প্রাথমিক শিক্ষকরা। কিন্তু সমাবেশ পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়।
পরে শিক্ষকরা দোয়েল চত্ত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আগামী ১৩ নভেম্বরের মধ্যে শিক্ষকদের দাবি মেনে নেওয়ার অনুরোধ জানান। দাবি না মানলে ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া কোমলমতিদের পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
ডিগ্রি পাশ (ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন) প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অসম্মতি। অথচ উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি (৩বছরের কৃষি ডিপ্লোমা বর্তমানে ৪ বছরের) বেতন গ্রেড ১০ম। নার্সদের বেতন গ্রেড ১০ম, শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচ,এস সি (ডিপ্লোমা ইন নার্সিং ৩ বছর)। আবার অষ্টম শ্রেণি পাস গাড়িচালক ভাইদের ও ডিগ্রি পাস প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকের বেতন স্কেল একই ৯৭০০/। বেতন গ্রেড: ১৫ তম।
পৃথিবীর আর কোন দেশে এ রকম মহান পেশা আছে কি? এছাড়া মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মহোদয়, দায়িত্ব পাওয়ার পর বিভিন্ন বক্তৃতায় সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ২০৪১ সালের মধ্যে সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে ২০১৪ সালে ঘোষিত প্রতিশ্রুতি, প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসনে নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন ও সরকারের ভাবমূর্তি সমুজ্জ্বল রাখতে শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে মহোদয়ের সদয় মর্জি হয়।
লেখক: প্রাথমিক শিক্ষক, ক্ষেতলাল,জয়পুরহাট