মনের বয়স কম রাখলে কি হয়?
জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০১৮, ১৮:০৪ আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০১৮, ১৮:১০
মানসিক ভাবে আপনি যা অনুভব করছেন অথবা নিজেকে যে বয়সের বলে ভাবছেন তাই আপনার মনের বয়স। এখন প্রশ্ন থেকেই যায় যে মনের বয়সই কি তাহলে আসল বয়স নয়?
প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা যায় যে দিনে দিনে বয়স বৃদ্ধির ধারণা সবার জন্য একরকম নয়। বয়স যতই হোক না কেন মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য পুরোপুরি মনের ওপর নির্ভর করে।
সেজন্যই মাঝে মাঝে আশি বছর বয়সী মানুষকে বাচ্চাদের মতো ব্যবহার করতে দেখা যায়। আবার অল্প বয়সী অনেকের মধ্যে লক্ষ্য করা যায় গম্ভীর ভাব।
আপনি যদি বিষণ্ণতায় ভোগেন, প্রায়ই ভুলে যান, শারীরিকভাবে দুর্বলবোধ করেন, তার মানে অবশ্যই আপনি মনের বার্ধক্যে ভুগছেন। যার ফলে আপনি শারীরিক এবং মানসিক উভয় প্রকার ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিজেদেরকে তরুণ বা পজেটিভ ভাবেন তারা শারীরিক, মানসিক দিক দিয়ে যথেষ্ট তারুণ।
অন্যদিকে যারা মনের দিক থেকে বার্ধক্যকে গ্রহণ করে নিয়েছেন, তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেশি। বাহ্যিক বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা দূর করা সত্ত্বেও এই ঝুঁকি রয়েই যায়।
তাই কর্মক্ষেত্রে চাই তারুণ্যের উচ্ছাস। ব্রিটিশ সাইকোলজিকাল সোসাইটির রিসার্চ ডাইজেস্ট এ দেখা গেছে যে, সেসব কোম্পানি বেশি সফল যাদের কর্মীরা নিজেদেরকে বয়সের তুলনায় তরুণ মনে করেন। এই ধরনের মানুষেরা সামাজিক, সাংসারিক, কর্মজীবন সবক্ষেত্রেই সফলভাবে টিকে থাকেন।
আরএ/