ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১১ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনগুলোর কাজ ‘প্রশ্নবিদ্ধ’

প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনগুলোর কাজ ‘প্রশ্নবিদ্ধ’
ফাইল ছবি

সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘ব্র্যাক শিক্ষাতরী’ বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন মন্তব্য করেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পারফরম্যান্স ব্র্যাকের এসএসসি এইচএসসি পাস করার শিক্ষকদের থেকে খারাপ।

এরকম নিউজ বাংলাদেশ জার্নালসহ অন্যান্য পোর্টালে ভাইরাল হয়। পরে সংবাদটি শিক্ষকদের বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিমন্ত্রীর এরকম মন্তব্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক শিক্ষক হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

আরো পড়ুন: ব্র্যাক স্কুলের চেয়েও দক্ষতা কম প্রাথমিক শিক্ষকদের!

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সক্ষমতা নিয়ে প্রতিমন্ত্রীর এরকম মন্তব্যের তাদেরই সংগঠনের নেতাদের কোনো প্রতিক্রিয়া না পেয়ে সংগঠনগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির এক নেতা।

বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির (রেজি:এস-১২০৬৮) চাঁদপুর কচুয়া উপজেলা শাখার সভাপতি মো. ওমর খৈয়াম বাগদাদী (রুমি) ফেসবুকে একটি মন্তব্য শেয়ার করেন।

বাংলাদেশ জার্নাল-এর পাঠকদের জন্য লেখাটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘আমি নির্বাক হয়ে গেলাম! মাননীয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন মহোদয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দায়িত্ব পালনের সক্ষমতা নিয়ে মন্তব্য করার পরে প্রাথমিক শিক্ষকদের ডজন খানেক পেশাজীবী সংগঠনের নেতাদের নিশ্চুপ দেখে।’

‘স্বাধীন বাংলাদেশে এই প্রথম দেশের সর্ববৃহৎ পেশাজীবীদের দায়িত্ব নিয়ে এমন করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে চাটুকারিতা মনোভাবের নেতাদের কারণে নয় কি?’

‘প্রশ্ন জাগছে ওনারা কাদের জন্য সংগঠন করে? ওনারা কেন সংগঠন করেন? ওনারা কি শুধু নিজ নিজ সংগঠন আর নিজের ক্ষমতা ফুটিয়ে তোলার জন্যই সংগঠন করেন?’

আরো পড়ুন: প্রাথমিকের ২০২০ সালের সংশোধিত ছুটির তালিকা প্রকাশ

‘এখন পর্যন্ত একজন নেতার পক্ষ থেকে নিন্দা বা প্রতিবাদ না দেখার কারণেই আজ ওনাদের নিয়ে প্রশ্ন জাগছে। আসলে আমাদের কপাল পোড়া, সবাই শুধু আমাদেরকে তাদের স্বার্থের জন্য ব্যবহার করে যাচ্ছেন। আমাদের তথাকথিত ডজন খানিক নেতাদের চাকরি নিয়ে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের এমন মন্তব্য শোনার পরেও কি বিবেকে নূন্যতম সাড়া জাগে নাই?’

‘আমাকে নিয়ে যারা নেগেটিভ মন্তব্য করেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, আমি একজন অতি সাধারণ শিক্ষক হিসেবে আমার আত্মসম্মানে মাননীয় মন্ত্রীর মন্তব্য লাগছে দেখে প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করেছি। জানি আমার একার নিন্দা আর প্রতিবাদে কিছুই হবে না, তবে শুরুটা তো করলাম। এখন আমার সকল প্রিয় শিক্ষক ভাই ও বোনেরা প্রত্যেকে প্রত্যেকের অবস্থান থেকে নিন্দার ঝড় তুলুন।’

‘আমরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী শিক্ষকতার মহান পেশায় আত্মমর্যাদা নিয়ে আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করছি এবং করবো এই অঙ্গীকারে বদ্ধপরিকর। আপনাদের প্রতিবাদের ব্যাপ্তি দেখে আমরা সকলের সম্মতিতে কঠোর থেকে কঠোর প্রতিবাদ আর নিন্দা জ্ঞাপনের উদ্যোগ নিবো।’

‘আমি একজন সাধারণ শিক্ষক হিসেবে বলছি, আমার পেশার সকল সহকর্মী আত্মমর্যাদা রক্ষায় সর্বদা সোচ্চার আছি এবং থাকবো। শিক্ষকদের মর্যাদা সমুন্নত হউক।’

আরো পড়ুন: প্রাথমিকের কর্মঘণ্টা ১০টা থেকে ৪টা!

উল্লেখ্য, সম্প্রতি প্রতিমন্ত্রী ‘ব্র্যাক শিক্ষাতরী’ বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকে বলেছিলেন, ‘একবার এক পিটিআইতে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে আমি বলেই ফেলেছিলাম, আপনারা (সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকরা) চারজন শিক্ষক মিলে একজন শিক্ষকের সমান কাজ করুন। ব্র্যাকের শিক্ষকরা ভালো কাজ করেন, কারণ মনে হয় কর্তৃপক্ষ জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পেরেছেন। কিন্তু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মনে করেন একবার সরকারি চাকরি পেয়ে গেছেন তো আর কিছু লাগবে না। একদম ‘সরকারি মাল দরিয়া মে ঢাল’।’

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত