ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য কী করবে বিএনপি!

  কিরণ শেখ

প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২১:১৪

খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য কী করবে বিএনপি!

কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে কী করবে বিএনপি? দলের চেয়ারপারসনকে মুক্ত করতে রাজপথে কঠোর আন্দোলনে যাবে, না কি আইনি প্রক্রিয়ায় তাকে মুক্ত করার চেষ্টা করবে দলটি।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন আবারো হাইকোর্ট খারিজ করে দেয়ার পর দলের ভেতরে এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে এসব প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। তবে দলটি বেগম জিয়ার জিয়াকে মুক্ত করতে এখনই রাজপথের কঠোর আন্দোলনে যাচ্ছে না। বরং আইনি প্রক্রিয়ায় সাথে সাথে রাজপথে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার চেষ্টা করবে। বিএনপির কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দেয়ায় ওই দিনই একদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। দলের চেয়ারপারসনের জামিন আবেদন খারিজের প্রতিবাদে শনিবার ঢাকা মহানগরসহ সারাদেশে মহানগর ও জেলা সদরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে। একই দিন ঢাকায় নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে দলটি।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে আমরা আন্দোলনেও আছি এবং আইনি প্রক্রিয়ায়ও আছি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন যদি না হয় তাহলে আন্দোলন ছাড়া আমাদের অন্য কোনো বিকল্প পথ নাই। আর এই আন্দোলন শুধু মুখে বললেই চলবে না, এটা কার্যকর করতে হবে। এমন কর্মসূচি দিতে হবে, যে কর্মসূচি আমরা দৃঢ়ভাবে পালন করতে পারব।

এবিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা আশা করি, সরকার দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবে না। সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। বেগম খালেদা জিয়াকে সসম্মানে নিঃশর্ত মুক্তি দেবে।

এদিকে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি খালেদা জিয়ার জামিনের পক্ষে নতুন কোনো কারণ না পাওয়ায় তার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। তবে খালেদা জিয়া মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যাডভানসড ট্রিটমেন্ট নিতে সম্মতি দিলে দ্রুত তার উন্নত চিকিৎসা শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার স্বার্থে বোর্ড চাইলে নতুন কোনো বিশেষজ্ঞকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে বলেও বলেছে হাইকোর্ট।

এর আগেও তিন দফা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় জামিন চেয়ে ব্যর্থ হয়েছেন খালেদা জিয়া। তবে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা দুই মাসের মাথায় নতুন করে জামিন আবেদন করেন। এই প্রেক্ষাপটে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি শুনানি করে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের উপাচার্যকে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। আর প্রতিবেদন পাওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দেয় হাই কোর্ট।

এবিষয়ে মওদুদ আহমদ বলেন, আমি বৃহস্পতিবার আদালতকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছি যে, যদি কোনো অঘটন ঘটে- এ বিচার কে করবে, এর দায়িত্ব কে নেবে? সরকারকেই এই দায়িত্ব নিতে হবে।

প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ এবং চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার ১৭ বছরের সাজা হয়েছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার জেল খাটার দুই বছর পুরো হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১০ মাস ধরে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত