ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

বিএনপি নেতা হযরত আলীর মুক্তি চায় পরিবার

বিএনপি নেতা হযরত আলীর মুক্তি চায় পরিবার

শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং সমাজসেবক মো: হযরত আলীর (৫৬) দ্রুত সময়ের মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে মুক্তি চায় তার পরিবার। জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৭ আগস্ট হযরত আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর বিভিন্ন কারাগারে রাখা হয়।

সর্বশেষ কেরাণীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে স্থানান্তর করে বর্তমানে গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি সেলে বন্দি আছেন তিনি। দীর্ঘদিন জেলে থাকায় তিনি ব্যবসায়িকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তার প্রতিষ্ঠানে বহু লোক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু হযরত আলীর অনুপস্থিতিতে সঠিক দিক নির্দেশনা না পাওয়ায় এই খেটে খাওয়া মানুষগুলোরও ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় দাঁড়িয়েছে। যা দেশের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

এমতাবস্থায় সরকার প্রধানের কাছে তার পরিবারের দাবি, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে জেলখানায় তার জীবনশঙ্কার কথা চিন্তা করে মানবিক কারণে অবিলম্বে হযরত আলীকে মুক্তি দেয়া হোক।

হযরত আলীর সহধর্মিনী নিলুফা খানম এই প্রতিবেদককে জানান, তার স্বামীকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে আজ ১৯ মাসের বেশি সময় ধরে কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে।এখন তিনি শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ। শরীরের ওজন কমে গেছে। যে কেউ দেখলে তাকে সহজে চিনতে পারবে না। এমনিতেই তিনি দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, চর্মরোগে ভুগছেন। বর্তমানে তার রক্তে গ্লুকোজ ওঠা-নামা করছে। তার জীবন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। তাছাড়া তিনি যে মামলায় বর্তমানে কারাবন্দি আছেন সেই মামলার ৭ জন আসামির মধ্যে তিনি ছাড়া বাকি ছয় জন আসামি জামিনে কারাগারের বাইরে আছেন। অথচ কোর্টে হযরত আলীর মুক্তির জন্য বারবার জামিনের আবেদন করা হলেও তাকে জামিন দেয়া হয়নি। যেহেতু জামিনের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না তাই সরকার প্রধানের কাছে আকুল আবেদন যেন তাকে দ্রুত মুক্তি করা হয়।

নিলুফা খানম প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, বর্তমানে বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস উচ্চ ঝুঁকি সম্পন্ন রোগীদের মৃত্যুর কারণ। কাজেই মুক্তির ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি আর্কষণ করছি। বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাকে (হযরত আলী) যে কোনো শর্ত সাপেক্ষে অবিলম্বে জামিন দিয়ে মুক্ত করা হোক।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত