ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

দেশে চিকিৎসা করাবেন খালেদা জিয়া, তবে...

  কিরণ শেখ

প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০২০, ২০:১৯  
আপডেট :
 ০৬ আগস্ট ২০২০, ২০:২৫

দেশে চিকিৎসা করাবেন খালেদা জিয়া, তবে...

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তি পাওয়ার পর থেকে নিজ বাসাতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। কারণ করোনাভাইরাস সংক্রমণের জন্য হাসপাতালে যেতে পারেননি তিনি। তবে বেগম জিয়া দেশেই চিকিৎসা নিতে চান। কিন্তু যদি প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে বিদেশে যাবেন। কিন্তু তার মুক্তির মেয়াদ দুই মাসেরও কম সময় রয়েছে। তাই খুব শিগগিরই দেশের কোন হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য এবং প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে তার পরিবারের সদস্যরা আবেদন করবেন।

মানবিক কারণে দণ্ড স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে গত ২৫ মার্চ কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৬ মাসের জন্য মুক্তি দিয়েছে সরকার। সরকারের শর্ত দুটি হলো- তিনি নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। তাই খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের হাসপাতাসালে কিংবা বিদেশে পাঠাতে তার পরিবারের সদস্যরা আবেদন করবেন। কিন্তু কবে নাগাদ খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে তার পরিবারের সদস্যরা আবেদন করবেন তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে খুব শিগগিরই আবেদন করবেন বলে জানা গেছে।

এবিষয়ে খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম বলেছিলেন, আমরা ভাবছি তার উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করবো।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী দলের সদস্য ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, উনি (খালেদা জিয়া) দেশে চিকিৎসা করাবেন। কিন্তু যদি প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে বিদেশে যাবেন। তাই দেশে এবং বিদেশে চিকিৎসা করানোর জন্য আবেদন করবেন। আর এখনো তো সময় আছে। সুতরাং প্রয়োজনের আগেই আবেদন করা হবে।

মাহবুবউদ্দিন খোকন বলেন, উনার চিকিৎসার জন্য তো সরকার মুক্তি দিয়েছেন। কিন্তু চিকিৎসা তো এখনো শুরু করতে পারেননি। কারণ করোনার জন্য হাসপাতালে যেতে পারছেন না। তবে ডাক্তাররা উনাকে দেখছেন। কিন্তু হাসপাতালে না গেলে তো চিকিৎসা করাতে পারবেন না। তাই চিকিৎসার জন্য খুব শিগগির তার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করবেন।

এবিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ম্যাডাম এতোই অসুস্থ যে, নিজে বাসার নিচে নামতে পারেন না, হাটতেও পারেন না। তার এখনো খাওয়া-ধাওয়ায় সমস্যা, খেতেও সমস্যা হচ্ছে। আসলে ম্যাডামের উন্নত চিকিৎসা যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে না। হাসপাতালেও যাওয়া যাচ্ছে না এখন যে পরিস্থিতি চলছে। সব মিলিয়ে তার শারীরিক অবস্থাটা ভালো না।

অন্যদিকে দীর্ঘ ২৫ মাস সাজা ভোগের পর মুক্তি পেয়ে গুলশানের ভাড়া বাড়ি ফিরোজায় গিয়ে উঠেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এরপর থেকে সেখানেই আছেন তিনি। তবে শর্ত সাপেক্ষে ৬ মাসের মধ্যে মুক্তির মেয়াদ দুই মাসেরও কম সময় রয়েছে। তাই এখন প্রশ্ন উঠেছে, ৬ মাস পরে কি করবেন?

খালেদা জিয়ার নির্বাহী আদেশে মুক্তির ৬ মাসের সময়সীমা প্রায় কাছকাছি চলে এসেছে পরবর্তি কর্মকান্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, এই বিষয়টা নিয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো আলোচনা হয়নি। সময় আসলে আলোচনা হবে।

জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার আইনজীবী দলের সদস্য ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন বলেন, মুক্তির ৬ মাসের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই আবেদন করা হবে।

কবে নাগাদ আবেদন করবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো তো সময় আছে। তাই সময় মতোই আবেদন করা হবে।

প্রসঙ্গত, মুক্তি দিন থেকেই ফিরোজার দোতলার ঘর রুমে খালেদা জিয়া কোয়ারেন্টাইনে আছেন। সঙ্গে নার্সসহ কয়েকজন আছে। আর বেগম জিয়ার চিকিৎসার সব কিছু লন্ডন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান তত্ত্বাবধায়ন করছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএস/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত