ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

রংপুর থেকেই শুরু করতে চান বিদিশা

  রংপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:৩২

রংপুর থেকেই শুরু করতে চান বিদিশা

জাতীয় পার্টির রাজনীতির স্বাদ নিতে মাঠে নামতে চান দলের প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা এরশাদ। এরিখকে সঙ্গে নিয়ে এরশাদের কবর জিয়ারতে এসে ছেলেকে রংপুরবাসীর হাতে তুলে দিয়ে সেখান থেকেই রাজনীতিতে প্রবেশ এবং সারা দেশে সফর করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার দুপুরে বিদিশা ছেলে এরিখকে সঙ্গে নিয়ে রংপুরে আসেন। এসময় পল্লীনিবাসে এরশাদের কবর জিয়ারত শেষে কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে।

এসময় বিদিশা অভিযোগ করে বলেন, তিনি প্রাসাদ রাজনীতির শিকার। অনেকের ষড়যন্ত্রে ২০০৫ সালে ছিটকে পড়েছেন। আলাদা থাকলেও ছেলের কারণে এরশাদ-বিদিশার মধ্যে দূরুত্ব কমেনি বরং ছেলের ভবিষ্যতের জন্য কথা হয়েছে নিয়মিত।

এরিখকে তার বাবার কবরে মাটি দিতে দেয়া হয়নি দাবী করে বিদিশা বলেন, দল চালাতে যাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তারা না পারলে সড়ে যেতে পারে তারা। কারণ এখনো এরশাদের উত্তরাধিকারী বেঁচে আছে। এরিখ এরশাদের ছেলে। তাই তাকে তার বাবার বাড়িতে রেখে গেলাম। রংপুরবাসী চাইলে এখান থেকে রাজনীতি করবো।

বিদিশা বলেন, জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হয় সরকারকে সাহয্য করবে নয়তো বিরোধীতা করবে। আমি তো মা, আমার বিরোধিতা কেন? তাদের একটাই কাজ আমার পেছনে লাগা, আমার সন্তানের পেছনে লাগা। তারা চায় আমি যেন আমার সন্তানের কাছে থাকতে না পারি। কিন্তু এটা হবে না।

‘আমি তাদের সবাইকে বলতে চাই, আমার পেছনে লেগে লাভ নেই। এরশাদের জাতীয় পার্টি যাদেরকে দিয়ে গেছেন তারা জাতীয় পার্টি করবেন। এরিখের ট্রাষ্টের পেছনে লেগে লাভ নেই। কারণ এখানে চাইলেই কেউ ঢুকতে পারবে না। এখানকার একমাত্র বেনিফিসারি হচ্ছে এরিখ। এরিখ যাকে চাবে যা চাবে সেটাই হবে। এত লোভ ভালো না। লোভের একটা সীমা থাকা উচিৎ।’

২০০৫ সালেল পর এরশাদের সঙ্গে তার খুব কম দেখা হয়েছে উল্লেখ করে বিদিশা বলেন, আমরা দুজনে আলাদা হয়ে যাই। আলাদা আলাদা থাকি। আলাদা বাসায় থাকি। আমি মধ্য বয়স থেকে বৃদ্ধ বয়সে যাচ্ছি। তারা এখনো আমার চরিত্র নিয়ে কথা বলে। তারা একটাবার চিন্তা করে না আমি বিদিশা যদি একবার মুখ খুলি তাহলে তাদের ঘর সংসার থাকবে না। তাদের বউ বাচ্চা কোথায় যাবে? প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি।

এজন্য বলতে চাই যাকে যে গুরু দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তারা সেটা পালন করবেন। যদি না পারেন সড়ে যাবেন। এরশাদের উত্তরাধিকারি মারা যায়নি এখনো বেঁচে, আছে তাকে বাঁচিয়ে রাখার দায় দায়িত্ব আমার।

তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিএনএ জোটের সভাপতি সেকেন্দার আলী মনি, মুখপাত্র শেখ মোস্তাফিজুর রহমান, মহাসচিব মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, সমন্বয়কারী আখতার হোসেন, এরশাদ ট্রাস্ট্রের পরিচালক ও এরিক এরশাদের লিগ্যাল অ্যাডভাইজার কাজী রুবায়েত হোসেন, ট্রাস্টের প্রেস সচিব ও বিদিশা এরশাদের একান্ত সহকারী সায়েম সাকলায়েন সজীব, রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাফিউল ইসলাম শাফি প্রমুখ।

বাংলাদেশ জার্নাল/আর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত