যুবলীগে ‘কাঁদা ছোড়াছুড়ি’
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২২:৩৬
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। গতবছর নভেম্বরে ৭ম জাতীয় কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হলেও এখনো খসড়া কমিটিই চূড়ান্ত করতে পারেনি সংগঠনটি। তবে খুব শিগগির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির দায়িত্বশীল নেতারা। আর কমিটি গঠনকে সামনে রেখে পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীদের মাঝে কাঁদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয়েছে।
গত বছর ২৩ নভেম্বর যুবলীগের ৭ম জাতীয় সংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনির বড় ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশ যুবলীগের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আর সাধারণ সম্পাদক হন মাইনুল হোসেন খান নিখিল। সে সময় দ্রুততম সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেয়া হয়। তবে ঢাকা সিটি করের্পোরেশন নির্বাচন এবং পরববর্তীতে করোনা মহামারী প্রার্দুভাবের কারণে পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন সম্ভব হয়নি। পরিস্থিতি অনুকূল বিবেচনায় আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরেরর মধ্যে যুবলীগসহ অন্যান্য সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের খসড়া কমিটি জমা দানের নির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশনার পর কমিটি গঠনের জন্য তোড়জোড় শুরু করে যুবলীগ। পদ প্রত্যাাশী নেতাকর্মীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা সিভি যাচাই-বাছাই ও বিশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় গতিশীলতা আনেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। পদ প্রত্যাশী নেতাকর্মীদের দৌড়ঝাপেও গতি বৃদ্ধি পায়। এরই মধ্যে কিছু পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীদের মাঝে অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কমিটি গঠনকে সামনে রেখে কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু করেছেন পদ প্রত্যাশী বেশ কিছু নেতাকর্মী। যাদের বেশিরভাগই গত কমিটির বিভিন্ন পদে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন।
জানা গেছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের কমিটি গঠন প্রক্রিয়ায় আঞ্চলিকতাকে প্রাধান্য দেয়া হয়। একটি অঞ্চল থেকে নির্দিষ্ট কিছু নেতা নির্বাচন করা হয়। তবে নির্বাচিত নেতাদের সংখ্যার তুলনায় পদ প্রত্যাশীদের সংখ্যা থাকে কয়েকগুণ বেশি। পদ প্রত্যাশীরা স্বাভাবিকভাবেই প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীকে পরাজিত করতে অসুস্থ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হচ্ছেন। কারো বিরুদ্ধে ক্যাসিনো সংশ্লিষ্টতা আবার কারো বিরুদ্ধে অন্য রাজনৈতিক দল থেকে অনুপ্রবেশের অভিযোগ আনছেন।
বেশ কয়েকজন পদ প্রত্যাশী নেতারা জানান, খুব শিখগির যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন হতে পারে। ঠিক এই মুহূর্তে অনেকেই নিজেদের মধ্যে কাঁদা ছোড়াছুড়ি করছেন। পদবঞ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে অনেকেই অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। যারা এই অসুস্থ প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন তাদের বেশিরভাগই পাপরিবারিকভাবে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত নয়।
আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কমিটি গঠনের ঠিক আগ মুহূর্তে ব্লেম গেম শুরু হয়। এটা রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ হতে পারে না। এবারের কমিটি গঠন প্রক্রিয়টা ভিন্ন হচ্ছে। কয়েক স্তরের যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে কমিটি চূড়ান্ত করা হবে। সে কারণেই কমিটি অনুমোদনে সময় লাগছে। তবে এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায় যুবলীগের প্রত্যেকটি পদে স্বচ্ছ ইমেজের নেতা নির্বাচন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/টিআর/আরকে