ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

জেলহত্যা দিবসে স্বেচ্ছাসেবক লীগের শ্রদ্ধা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০২০, ১৮:২৬  
আপডেট :
 ০৭ ডিসেম্বর ২০২০, ০১:০৭

জেলহত্যা দিবসে স্বেচ্ছাসেবক লীগের শ্রদ্ধা
বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন। ছবি: সংগ্রহ।

জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ও জাতীয় চারনেতার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ।

মঙ্গলবার সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে প্রথমে শ্রদ্ধা জানানো হয় ৷ এরপর বনানী কবরস্থানে জাতীয় তিন নেতার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

সকাল ৮টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। পরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। পরবর্তীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতারা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর দ্বিতীয় কলঙ্কজনক অধ্যায় শোকাবহ এই দিন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করার আড়াই মাসের মাথায় ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন অব. এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে নৃশংসভাবে হত্যা করে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা ও চার জাতীয় নেতার হত্যাকাণ্ড ছিল একই ষড়যন্ত্রকারী অপশক্তির ঘৃণ্য অপকর্মের ধারাবাহিকতা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে খন্দকার মোশতাক আহমদের নেতৃত্বে ষড়যন্ত্রকারীরা জাতীয় চার নেতাকে তাদের সরকারের যোগদানের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর এই চার জাতীয় নেতা সেই প্রস্তাব ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন। এ কারণে তাদের নির্মমভাবে জীবন দিতে হয়। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ বঙ্গবন্ধু ও চার জাতীয় নেতাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু বলেন, ইতিহাসের এই বর্বোরচিত ন্যাক্কারজনক হত্যার তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘ ২১ বছর বন্ধ রাখা হয়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৬ সালে জেলহত্যা মামলা পুনরুজ্জীবিত করে অতঃপর ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলাটির রায় ঘোষণা করেন। ওই রায়ে ২০ জন আসামীর মধ্যে ১৫ সাবেক সেনা কর্মকর্তার শাস্তি ও ৫ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। তন্মধ্যে ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। ২০০৮ সালের ২৮ আগস্ট হাইকোর্টের রায়ে কেবল রিসালদার মোসলেম উদ্দিনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে বাকি ২ জনকে খালাস এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত ১২ জনের মধ্য থেকে চার আসামীকে খালাস প্রদান করা হয়।

তিনি বলেন, ইতিহাসের ঘৃণ্য বর্বরোচিত জঘন্যতম এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে স্বাধীনতার পরাজিত অপশক্তি, দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রকারী চক্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নাম চিরতরে মুছে ফেলে জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করার অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার জাতির পিতার হত্যাকারী ও চার জাতীয় নেতা হত্যাকারীর বিচার কাজ সম্পন্ন করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আজকের এইদিনে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতীয় চারনেতাকে বিনম্র শ্রদ্ধা ভালোবাসায় স্মরণ করছে।

বাংলাদেশ জার্নাল

  • সর্বশেষ
  • পঠিত