ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

ভ্যাকসিন সংগ্রহের সরকারি তথ্য বিভ্রান্তিমূলক: বিএনপি

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২০, ১৭:৪৬

ভ্যাকসিন সংগ্রহের সরকারি তথ্য বিভ্রান্তিমূলক: বিএনপি

করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন সংগ্রহের সরকারি তথ্য অত্যন্ত অস্পষ্ট এবং বিভ্রান্তিমূলক বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। শনিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক ভার্চুয়াল বৈঠকে দলটি এই মন্তব্য করে।

রোববার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা মনে করেন, করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দাবি করেছে দুটো ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা- ফাইজার ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মডার্না। এছাড়াও রাশিয়া এবং চীন ইতিমধ্যেই তাদের নির্মিত ভ্যাকসিন ব্যবহার করতে শুরু করেছে। কিন্তু ভ্যাকসিন সংগ্রহের বিষয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এখনো পর্যন্ত কোন স্বচ্ছ ধারণা জনগণের সামনে তুলে পারেনি।

‌‘ভ্যাকসিন সংগ্রহ ও বণ্টনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবিলম্বে যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণ করে জনগণকে অবহিত করা অত্যন্ত জরুরি। গণমাধ্যমে ভ্যাকসিন সংগ্রহের বিষয়ে সরকারি ভাষ্য অনুযায়ী যে সকল তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে তা অত্যন্ত অস্পষ্ট এবং বিভ্রান্তিমূলক বলেও বৈঠকে মনে করা হয়।’

তারা মনে করেন, করোনায় ভ্যাকসিন প্রাপ্তি জনগণের অধিকার। তাই ভ্যাকসিন সংগ্রহ ও বণ্টন নিয়ে কোনো রকম দুর্নীতি না করে স্বচ্ছ নজরদারী ও জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে এসে মানবিক কারণে জনগণের কাছে বিনামূল্যে প্রদান ও সহজলভ্য করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

‘ভ্যাকসিন সংগ্রহ এবং সংরক্ষণের জন্য যথাযথ তাপ নিয়ন্ত্রিত সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। অন্যথায় সংগৃহীত হলেও তা কার্যকারিতা হারাবে। এজন্য অবিলম্বে ভ্যাকসিন বিষয়ে সরকারের অবস্থান এবং গৃহীত পদক্ষেপের সঠিক তথ্য জনগণকে অবহিত করার দাবি জানানো হয় বৈঠক থেকে।’

বৈঠকে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ঢাকা-১৮ আসনে উপ-নির্বাচনের দিনে ঢাকা মহানগরীর কয়েকটি বাসে, গণপরিবহনের কয়েকটি স্থানে অগ্নি-সংযোগের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ কর্তৃক বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন সমূহের নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা মামলা, গ্রেপ্তার, রিমান্ড এবং গুমের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর দ্বারা তুলে নিয়ে যাওয়া কয়েকজন নেতাকে নির্যাতনের মাধ্যমে জোর করে জবানবন্দী দেওয়া এবং সিসি টিভি ফুটেজের বরাত দিয়ে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর ঘটনায়ও তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।

বৈঠক মনে করে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তৈরি করা মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে বিএনপিকে হেয় প্রতিপন্ন করা এবং নেতা কর্মীদের গ্রেপ্তার, নির্যাতন, দমন-নিপীড়ন করে তাদের মনোবল ভেঙ্গে দেয়ার অপকৌশল।

‘বিএনপি পুনরায় দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করছে যে, বিএনপি কোন রকম সন্ত্রাসে বিশ্বাসে করে না। এটা সরকারের অপকৌশল, নিজেদের এজেন্টদের দ্বারা এইসব সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ঘটিয়ে বিএনপিকে দোষারোপ করা। যা অতীতে তারা করেছে। সভা অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত সকল নেতা-কর্মীর মুক্তি ও সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানায়।’

এছাড়া আগামী ২৭ নভেম্বর স্বৈরাচারী এরশাদ বিরোধী গণঅভ্যত্থানে নিহত ‘শহীদ মিলন দিবস’ যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় বৈঠকে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েস্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান এবং ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

কেএস/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত