ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

খালেদা জিয়ার মতামতের অপেক্ষায়

  কিরণ শেখ

প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২১, ১৯:৪০  
আপডেট :
 ০৯ জানুয়ারি ২০২১, ১৯:৪৬

খালেদা জিয়ার মতামতের অপেক্ষায়
ছবি: সংগৃহীত

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা এবং সাজা স্থগিতের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদনের বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি বিএনপি। আবেদনের বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবেন দলটির আইনজীবীরা। আর চিকিৎসা এবং সাজা স্থগিতের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদনের বিষয়ে বেগম খালেদা জিয়া যে মতামত দেবেন সে অনুযায়ী দলটি কাজ করবে।

তবে কবে নাগাদ বেগম জিয়ার সঙ্গে আইনজীবীরা আলোচনায় বসবেন তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। কিন্তু খুব শিগগিরই আইনজীবীরা বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানতে চাইলে বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, এখনো প্রায় তিন মাস সময় আছে। আর মুক্তির মেয়াদ যখন শেষ হয়ে আসবে তখন আমরা এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো। এরআগে আমরা আইনজীবীরা বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে আলোচনা করবো এবং এ বিষয়ে উনার মতামত নেবো। আর উনার মতামতের ভিত্তিতে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে আরো ছয় মাসের জন্য মুক্ত জীবন যাপন করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। আগামী মার্চ মাসে এই মুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। ইতিমধ্যে তিন মাসেরও অধিক সময় অতিবাহিত হয়েছে। এরআগে গত ২৫ মার্চ মানবিক কারণে দণ্ড স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে ৬ মাসের জন্য মুক্তি দেয় সরকার। শর্ত দুটি হলো- তিনি নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। দ্বিতীয় দফায় মুক্তির ক্ষেত্রেও আগে যেসব শর্ত ছিল সেগুলো অপরিবর্তিত রয়েছে।

তবে গত ৯ মাসের অধিক সময় ধরে বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত জীবন যাপন করলেও এটাকে মুক্ত বলতে নারাজ বিএনপি। দলটি বলছে, বেগম জিয়া মুক্ত না। বরং উনাকে জেলবন্দি থেকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।

এবিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গণতন্ত্রের জন্যই বেগম জিয়া আজকে গৃহবন্দি অবস্থায় কারাবন্দি হয়ে আছেন। তাই আমাদের চ্যালেঞ্জ গণতন্ত্রকে উদ্ধার করা এবং খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা। কারণ তাকে মুক্ত না করলে গণতন্ত্র মুক্ত হবে না।

একই বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, খালেদা জিয়াকে জেলবন্দি থেকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।

এদিকে গত ২৫ মার্চ মুক্তি দিন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা যেমন ছিল এখনো সেই রকমই আছে। তবে ডায়াবেটিস কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আর শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ার তার পরিবার চাচ্ছে, বেগম জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিয়ে যেতে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা থাকায় তিনি বিদেশ যেতে পারছেন না।

চিকিৎসার বিষয়ে বিএনপি বলছে, খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার বিষয়টি শুধু মানবিক না, এটা নৈতিক ও জনগণের দাবি। কিন্তু বাহিরে যাওয়ার বিষয়ে যে আবেদনটা করা হয়েছে তা গ্রহণ করা হয়নি। তাই দলটির দাবি, বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য বিদেশে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হোক।

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে তার ব্যক্তিগত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের সদস্য ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, উনি বন্দি জীবন যাপন করছেন। হাসপাতালেও যেতে পারবেন না; মুক্তির শর্তে লেখা আছে! আর মানসিক অবস্থা আগের মতোই এবং মুক্তি দিন শারীরিক অবস্থা আপনারা যেমন দেখেছেন তেমনই আছে। তবে ডায়াবেটিস কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আছে।

উন্নত চিকিৎসার প্রসঙ্গে জাহিদ হোসেন বলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের সদস্যরা তো আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সরকার অনুমতি দেয়নি।

প্রসঙ্গত, মুক্তি পেয়ে গুলশানের ভাড়া বাড়ি ফিরোজায় গিয়ে উঠেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এরপর থেকে সেখানেই আছেন তিনি। ওই দিন থেকেই ফিরোজার দোতলার ঘর রুমে খালেদা জিয়া কোয়ারেন্টাইনে আছেন। বেগম জিয়ার চিকিৎসার সব কিছু লন্ডন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান তত্ত্বাবধায়ন করছেন। আর তার সঙ্গে নার্সসহ কয়েকজন আছে।

এর বাইরে প্রায় প্রতিদিনই বেগম জিয়ার ভাই ও বোন উনার সঙ্গে দেখা করতে যান। আর প্রায় দিনই বিএনপি চেয়ারপারসন গুলশানে দলীয় নেতাদের ডেকে নিয়ে কথা বলেন।

কেএস/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত