ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

সভাপতির পদ থেকে ড. কামালকে বাদ দেয়ার প্রস্তাব

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৭:২৩

সভাপতির পদ থেকে ড. কামালকে বাদ দেয়ার প্রস্তাব
ফাইল ছবি

গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে সভাপতির পদ থেকে বাদ দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে গণফোরামের এক পক্ষের ডাকা বর্ধিত সভায় সাবেক নির্বাহী কমিটির সদস্য মহসিন রশিদ বর্ধিত এই প্রস্তাব তুলে ধরেন। গণফোরামের নেতাদের একটি পক্ষ এই বর্ধিত সভার আয়োজন করেন। এতে নেতৃত্ব দেন মোস্তফা মোহসীন মন্টু।

এসময় মহসিন রশিদ বলেন, দলের মধ্যে অনেক বিভাজন চলছে। এই বিভাজন বন্ধ করতে ব্যর্থ হলে সভাপতির পদ থেকে ড. কামাল হোসেনকে বাদ দেয়া উচিত। কমিটির সাবেক সদস্য সত্তার পাঠানও একই প্রস্তাব করেন। পরে জেলা পর্যায়ের কয়েকজন নেতা এই প্রস্তাব সমর্থন করেন।

সকাল ১০টায় গণফোরামের ৬ষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদের সভাপতিত্বে গণফোরামের বর্ধিত সভায় শোক প্রস্তাব পাঠ করেন অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী এবং সাংগঠনিক, রাজনৈতিক ও ত্রাণ কার্যক্রমের রিপোর্ট উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক। বর্ধিত সভায় সারাদেশের ৫৬ জেলা থেকে ২৮১ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।

সভায় আগামী ২৮ ও ২৯ মে গণফোরামের ৬ষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল করার সিদ্ধান্ত নেয়ার হয়। এসময় দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, আমরা জাতি হিসাবে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে এটা প্রত্যাশিত ছিল না। দুঃশাসনের এ বাংলাদেশে আমরা বিভিন্নভাগে বিভক্ত। এই প্রেক্ষাপটে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল দলের ঐক্য চাই। রাতের ভোটে নির্বাচিত স্বঘোষিত সরকারের পদত্যাগ চাই। প্রয়োজনে দেশ রক্ষায় জাতীয় ঐক্যের সরকার চাই।

তিনি বলেন, গণফোরামকে দেশবাসীর আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী সুসংগঠিত করতে হবে। আগামী ৬ষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল দলকে শক্তিশালী ভিত্তির উপর দাড় করানোর জন্য আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই।

সভাপতির ভাষণে অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ বলেন, দেশে আইনের শাসন বলতে কিছু নেই। নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে জনগণের বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছে। জেলখানায় লেখক সাংবাদিকদের মৃত্যু প্রমাণ করে বন্দি অবস্থাতেও কারো জীবনের নিরাপত্তা নেই।

অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, ভোট চুরির মধ্য দিয়ে স্বঘোষিত সরকার লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। দেশী-বিদেশি মিডিয়ায় সরকারের গোপন কর্মকাণ্ডের তথ্য ফাঁস হওয়া শুরু হয়েছে। সরকারি সম্পদ লুটপাটের মহোৎসব চলছে। সরকারের ব্যর্থতা সর্বক্ষেত্রে দৃশ্যমান। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে দেশবাসীকে সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।

সভায় গণফোরামের ৬ষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল আয়োজনে প্রস্তুতি কমিটিসহ চারটি কমিটির প্রস্তাব ঘোষণা করা হয়।

আগামী জাতীয় কাউন্সিল পর্যন্ত সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ২১ সদস্য বিশিষ্ট স্টিয়ারিং কমিটি গঠিত হয়। অধ্যাপক আবু সাইয়িদকে আহবায়ক এবং ১৫ জনকে যুগ্ম আহবায়ক করে গণফোরাম জাতীয় নির্বাহী কমিটিও গঠিত হয়।

এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মহসীন মন্টুকে আহবায়ক এবং সুব্রত চৌধুরীকে সদস্য সচিব করে ২০১ সদস্য জাতীয় কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটি গঠিত হয় এবং মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদকে আহবায়ক করে এবং ১৫ জনকে যুগ্ম আহবায়ক করে ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট উৎসব উদযাপন কমিটি গঠিত হয়।

কেএস/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত