ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

পুলিশের গাড়িতে আগুন দিন, আসামি আমি হবো: নূর

  ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০২১, ১৯:৪৬

পুলিশের গাড়িতে আগুন দিন, আসামি আমি হবো: নূর
ছবি- নিজস্ব

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাবি ক্যাম্পাসে মশাল মিছিলে পুলিশের হামলা এবং রোববার টিএসসি থেকে তিন ছাত্রদল নেতাকর্মীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের উদ্দেশে বলেন, পুলিশের গাড়ি কেন বিশ্ববিদ্যালয় থাকবে, এটা কি ক্যান্টনমেন্ট? বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এরপর আপনারা ( শিক্ষার্থীরা) যদি পুলিশের গাড়ি দেখেন তাহলে তাতে আগুন ধরিয়ে দিন, হুকুমের আসামি আমি হবো।

সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলসহ চার দফা দাবিতে ছাত্র অধিকার পরিষদের এক বিক্ষোভ সমাবেশে একথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি নুরুল হক নূর।

তিনি বলেন, আজকে পুলিশ কে জনগণের মুখোমুখি করে দেয়া হয়েছে। পুলিশ জনগণের বন্ধু কিন্তু কিছু কিছু পুলিশের ভূমিকা তো আমরা দেখেছি; তারা প্রমোশনের ধান্দায় সরকারের অ্যাটেনশন গ্রো করার জন্য বিভিন্ন আকাম-কুকাম করে বেড়াচ্ছে। ছাত্রদের মারছেন, নারীদের লাঞ্ছনা করছেন, বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে অমানবিক আচরণ করছেন। নির্বাচন কমিশন এবং পুলিশ বর্তমানে আওয়ামী লীগের একটি অঙ্গ সংগঠনে পরিণত হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রক্টরের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা যদি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন, তাহলে পদত্যাগ করুন। নতুবা আপনাদের নিয়ে কেউ ‘গাভী বিত্তান্ত টু’ লিখবে। কারণ আহমদ ছফা যে প্রসঙ্গে গাভী বৃত্তান্ত লিখেছিলেন, তার চেয়েও আপনারা জঘন্য কাজ করেছেন।

ডাকসুর সাবেক ভিপি আরও বলেন, ‘যখন ক্যাম্পাস থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পুলিশ গ্রেপ্তার করে তুলে নিয়ে যায়, যখন শাহবাগ থানার সামনে তাদের বেদম মারধর করা হয় কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রক্টরের কার্যকর ভূমিকা দেখতে পাই না। নিম গাছ লাগিয়ে আঙ্গুর ফল আশা করলে তো হবে না। যে প্রকার ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পক্ষে নৌকায় ভোট চায়, সে প্রক্টরের কাছ থেকে এবং উপাচার্যের কাছ থেকে শিক্ষক সুলভ আচরণ কীভাবে প্রত্যাশা করবেন? বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং প্রক্টর রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তিতে মগ্ন রয়েছেন।

বঙ্গবন্ধুকে ইতিহাসের মহানায়ক উল্লেখ করে তিনি লেজুড়বৃত্তি রাজনীতি সমালোচনা করে বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাসে পতাকা উত্তোলনকারী আ স ম আব্দুর রব এবং স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করা শাহজাহান সিরাজ কথা নেই। মুক্তিযুদ্ধকে সংঘটিত করার জন্য ছাত্রনেতারা যে নিউক্লিয়াস গঠন করেছিল, সে নিউক্লিয়াসের প্রধান সিরাজুল আলম খানের কথা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে নেই। আওয়ামী লীগ আজকে মুক্তিযুদ্ধকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করছে। তাদের রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য।

তাদের দাবিগুলো হলো, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বাতিল করতে হবে, লেখক মোশতাকের হত্যার বিচার করতে হবে, সম্প্রতি আন্দোলন-সংগ্রামে যে ছাত্রদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের সকলকে মুক্তি দিতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো খুলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের আহবায়ক মুহাম্মাদ রাশেদ খান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান, ঢাবি শাখার সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত