ক্ষমতায় গেলে পুলিশ সদস্যদের এসপি পদমর্যাদা দেবো
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ মার্চ ২০২১, ১৮:৫১
নাগরিক সমাবেশের সভাপতি ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, আমরা ক্ষমতায় গেলে প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে এসপি পদমর্যাদায় যাওয়ার সুযোগ করে দেবো। তাই আপনারা সরকারের পাশে নয়, আমাদের পাশে ও জনগণের পাশে থাকুন।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
লেখক ও কলামিস্ট মোস্তাক আহমেদের হত্যার প্রতিবাদ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে নাগরিক সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্য করে জাফরুল্লাজহ চৌধুরী বলেন, আমরা ক্ষমতায় গেলে প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে এসপি পদমর্যাদায় যাওয়ার সুযোগ করে দেবো। আপনাদের ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার সুব্যবস্থা করে দেবো। আপনারা সরকারের পাশে নয়, আমাদের পাশে ও জনগণের পাশে থাকুন।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, তাকিয়ে দেখেন, চারপাশ থেকে জনগণ চাপতে শুরু করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি আপনার লোকচুরি বন্ধ করেন। আপনাকে আপনার পিতার অমর বাণীটি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। আর দাবিয়ে রাখাতে পারবা না।
বিচারপতির উদ্দেশ্যে জাফরুল্লহ বলেন, আজ কিশোরের যে রায়টি দিয়েছেন, সেটি অসম্পূর্ণ রায়। যারা সংবিধান ভঙ্গ করেছেন। যারা সংবিধান লংঘন করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেন। এটি আপনাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
তিনি বলেন, আজকে কিশোরের মুক্ত হয়েছে। আমি আনন্দিত। কিন্তু আমি চিন্তিতও বটে। লেখক ও কলামিস্ট মোস্তাক আহমেদ মৃত্যুর আগে তার পরিবারকে বলেছিল- আমার কথা চিন্তা করো না, কিশোরের কথা চিন্তা করো না। কিন্তু মরতে হলো।
এসময় বিভিন্ন অজুহাতে যাদেরকে বন্দি করে রাখা হয়েছে তাদেরকে মুক্ত করে দেয়ার দাবি জানান তিনি।
পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, আজকে আমাদের কারো হাতে ইট, পাথর ও লাঠি নেই। আমরা নিরস্ত্র। আমরা দেশের নাগরিক হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চাই। আজ আমরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে পথ-যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছি। দায়িত্ব হলো, আপনারা পাহারা দিয়ে আমাদেরকে পৌঁছে দেয়া। উনার সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দেওয়া।
এসময় আরো বক্তব্য রাখছেন নাগরিক ঐক্যের মাহামুদুর রহমান মান্না, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েক সাকী, আলোকচিত্রী শহিদুল, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, পরিবেশ আইনবিদ সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা ফিরোজ আহমেদ, কবি ও সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফ, সাংবাদিক সেলিম খান প্রমুখ।
কেএস