ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

গণফোরামের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০২১, ২১:৫৪

গণফোরামের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি
ছবি প্রতীকী

পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিভক্ত গণফোরাম। একটি অংশ আগামী শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে একইদিন প্রেসক্লাবে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন অংশটি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো পৃথক পৃথক সংবাদ বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

গণফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টুর নেতৃত্বাধীন অংশটি শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় প্রেসক্লাবে বিক্ষোভ করবে।

বিবৃতিতে জানানো হয়, শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণফোরাম ও দলটির ছাত্র সংগঠন ঐক্যবদ্ধ ছাত্র সমাজের ব্যানারে ‘কারাগারে লেখক মুসতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রতিবাদে এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে’ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।

কর্মসূচিতে গণফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ এবং সুব্রত চৌধুরীর উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

এদিকে বিকেল ৩টায় কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন অংশটি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে। এতে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও মোকাব্বির খান এমপি উপস্থিত থাকবেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।

পৃথক পৃথক কর্মসূচির প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গণফোরামের সাবেক নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্র্রত চৌধুরী বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, কামাল সাহেব কি করবেন তা আমরা জানি না। তাকে নিয়ে এক সময় রেজা কিবরিয়া খেলেছেন। আর এখন তাকে নিয়ে খেলছেন মোকাব্বির খান।

গত ২৬ সেপ্টেম্বর ভেঙে যায় ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম। পরে গণফোরামের অভ্যন্তরীণ দলীয় কোন্দল এবং পাল্টাপাল্টি বহিষ্কারের মধ্যেই কেন্দ্রীয় কমিটির বিলুপ্তি ঘোষণা করে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছিলেন ড. কামাল হোসেন।

এসময় পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিও ঘোষণা করে বিভক্ত গণফোরাম। একটি অংশ গত ২৬ ডিসেম্বর জাতীয় সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করে। একই দিন ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন অংশটি কেন্দ্রীয় কমিটির সভা আহ্বান করেছিলো। পরে বিভক্ত গণফোরামের ডাকা পাল্টাপাল্টি কাউন্সিল স্থগিত করা হয়।

পরে গত ৭ ফেব্রুয়ারি গণফোরামে যোগদানের ১৮ মাসের মাথায় দল ছাড়ার ঘোষণা দেন ড. রেজা কিবরিয়া। দলে যোগ দেয়ার পর দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য করা হয়েছিল রেজা কিবরিয়াকে। পরে তাকে সাধারণ সম্পাদক করেন ড. কামাল হোসেন। এ নিয়ে গণফোরামে দেখা দেয় বিভেদ, বহিষ্কার-পাল্টা বহিষ্কার। এক পর্যায়ে ভেঙেও যায় গণফোরাম।

এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি ড. কামাল হোসেন দুই পক্ষকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার উদ্যোগ নেন। এর মধ্যেই ড. রেজা কিবরিয়া পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

প্রসঙ্গত, গত ৪ মার্চ কেন্দ্রীয় কমিটির বিলুপ্তি ঘোষণা করে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন ড. কামাল হোসেন। পরে ১২ মার্চ গণফোরামের ৭১ সদস্যের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেন তিনি। যেখানে জায়গা হয়নি দলটির তিন পরিচিত মুখ অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ এবং মোস্তফা মহসিন মন্টুর।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএস/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত