ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

৭ মার্চের ভাষণ অবশ্যই ঐতিহাসিক

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০২১, ২০:৩১

৭ মার্চের ভাষণ অবশ্যই ঐতিহাসিক
ফাইল ছবি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ অবশ্যই ঐতিহাসিক উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, এই ভাষণ জনগণকে উদ্বেলিত করেছিলো এবং জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে কিছু নির্দেশনা ছিলো।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে ‘৭ মার্চ উপলক্ষে’ এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা। বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটি এই সভার আয়োজন করে।

সভাপতির বক্তব্যে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‍৭ মার্চের ভাষণ অবশ্যই ঐতিহাসিক। কারণ জনগণকে এই ভাষণ উদ্বেলিত করেছিলো এবং ঐক্যবদ্ধভাবে জনগণের কিছু করারও নির্দেশনা ছিলো। এটা আমরা অস্বীকার করতে চাই না, এখানে বক্তব্যে রেখেছিলেন- সেই সময়ের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান। এটাও অস্বীকার করি না, জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জাতীয় সংসদে যখন বক্তব্যে রাখেন; তখন যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও যুদ্ধের জন্য অবদান রেখেছেন তাদের সকলের কথা স্মরণ করতে গিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের নামও স্মরণ করেছেন। তেমনিভাবে বেগম খালেদা জিয়াও করেছেন।

তিনি বলেন, ৭ মার্চের সময় জাতীয়তাবাদী দল ছিলো না। স্বাধীনতার ১০ বছর জাতীয়তাবাদী দল প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকেও ৭ মার্চে বাংলাদেশের মানুষের কেউ চিনতো না। এজন্য বলছি, কারণ আমরা কাউকে ছোট করতে ৭ মার্চে আলোচনা করতে আসিনি। কারণ তখন জাতীয়তাবাদী দল ছিলই না। আর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এদেশের মানুষের কাছে ২৬ মার্চ থেকে পরিচিত হয়। এখানে তুলনা করার কোন প্রশ্ন উঠে না। শহীদ জিয়াউর রহমান ৭ মার্চের কোন বিয়ষবস্তু না। তাই আমরা কাউকে ছোট করা, কাউকে বড় করা কিংবা ইতিহাসকে বিকৃত করা- এজন্য আমরা এখানে আলোচনা করতে আসিনি। আমরা এখানে এসেছি প্রকৃত ইতিহাসকে তুলে ধরার জন্য।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, অনেকে আমাদের প্রশ্নে করছেন, ‘আগে তো আপনারা ৭ মার্চ পালন করেননি’। আমরা সুবর্ণ জয়ন্তীর একটি দিন হিসেবে আজকে ৭ মার্চ পালন করছি। আর সুবর্ণ জয়ন্তী ইতিপূর্বে আর আসেনি।

‘বিএনপি ইতিহাস থেকে কারো নাম মুছে দিতে চায় না। সেই উদ্দেশ্য নিয়ে বিএনপির ৭ মার্চ পালন করতে আসেনি।’

বঙ্গবন্ধুর ভাষণের ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ বক্তব্য নিয়ে মোশাররফ বলেন, সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধকে বর্তমান সরকার এক সাথে করে দিচ্ছে। সংগ্রাম ও যুদ্ধ এক হতে পারে না।

সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা যে ৭ মার্চ পালন করছি, এই পালন করাটাই আওয়ামী লীগের জন্য গাত্রদাহ হয়ে গেছে। কী আছে ৭ মার্চের ভাষণে? এটা ৫০ বছরের ইতিহাসে ছোট একটা অংশ ৭ মার্চ।

‘৭ মার্চ আমরা কী আশা করেছিলাম? বাঁশ ও লাঠি নিয়ে গেছি। একটা ঘোষণা তো এসেই যাবে। কিন্তু কোন ঘোষণা আসেনি। রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন এদেশের জনগণ। যদি কেউ বলেন, শহীদ জিয়ার ভাষণে দেশে স্বাধীনতা আসে নাই। তাহলে আমরা বলতে পারি ৭ মার্চের ভাষণে দেশে স্বাধীনতা হয় নাই।’

দলটির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ৭ মার্চ অনেকগুলো মাইলফলকের মধ্যে একটা গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। কিন্তু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের যে অনেকগুলো মাইলফলক আছে, সেগুলো ধুলোয় ঢেকে গেছে। সংস্কারের অভাবে সেই মাইলফলকগুলো ভেঙে যাচ্ছে। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে এসে আমাদেরকে সেই মাইলফলকগুলোকে ধুলোমুক্ত করতে হবে এবং সংস্কার করতে হবে।

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বক্তব্যে রাখেন।

কেএস/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত