ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

সংসদে সরকারি দলের হুইপ

জিয়াউর রহমান ব্যাংক লুটপাটের হোতা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৭ জুন ২০২১, ১৯:২১

জিয়াউর রহমান ব্যাংক লুটপাটের হোতা
ছবি সংগৃহীত

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ব্যাংক লুটপাটের ‘হোতা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন সরকারি দলের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জিয়াউর রহমান সংবিধান বুটের তলায় পিষ্ট করে জঞ্জালের রাজনীতি শুরু করেছিলেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ব্যাংক লুটপাটের হোতা জিয়াউর রহমান। তার আমল থেকেই ব্যাংকে লুটপাট শুরু। ১৯৭৭ সালের ‘হ্যাঁ–না ভোট, ১১০ শতাংশ ভোট কাস্টিং যারা করেছিল, ২০০৬ সালে যারা ১ কোটি ৩০ লাখ ভুয়া ভোটার করেছিল, তাদের মুখে ভোটের কথা মানায় না। তারা মনে হয় চায়, আওয়ামী লীগ তাদের ভোটের এজেন্টও দিয়ে দেবে।

আবু সাঈদ আল মাহমুদ বলেন, বিএনপির সাংসদ (হারুন অর রশীদ) সংবিধানকে প্রতারণা দলিল বলেছেন, নিজেকে স্বঘোষিত বিরোধীদলীয় নেতা দাবি করেছেন। এগুলো এক্সপাঞ্জ করতে হবে।

বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক দল তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি সাংসদ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, দুর্নীতি, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও সুশসানের অভাব বাজেট বাস্তবায়নের অন্তরায়।

ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে সংরক্ষিত আসনের সাংসদ লুৎফুননেসা খান বলেন, স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। তার চেয়ে বড় কথা, এই অর্থ যথাযথ ও স্বচ্ছতার সঙ্গে ব্যবহার করা হয় না। গবেষণা খাতের সব টাকাই রয়ে গেছে। স্বাস্থ্য খাতের কেনাকাটায় অভাবনীয় দুর্নীতি হয়েছে।

সরকারি দলের সাংসদ শফিউল ইসলাম বলেন, বিরোধী দলকে ১৫ মিনিট সময় দিচ্ছেন। আর আমরা পাচ্ছি ৭ মিনিট। এটা বৈষম্য। বেশি সুযোগ দেন, তারপরও তারা বলেন- সময় দেয়া হয় না। কথা বলতে দেয়া হয় না।

বিরোধী দলের সংরক্ষিত আসনের সাংসদ রওশন আরা মান্নান বলেন, বাজেট কখনো আগের বাজেটের চেয়ে ছোট হয় না। এই বাজেটে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প–উদ্যোক্তারা হতাশ হয়েছেন। বাজেটে সাধারণ মানুষের জন্য খুব বেশি কিছু খুঁজে পাওয়া যায় না।

বিকল্পধারার সাংসদ এম এ মান্নান বলেন, স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতি জনগণ প্রত্যক্ষ করেছে। অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রেও সবচেয়ে হতাশার চিত্র দেখা গেছে এই খাতে। তার কারণ সক্ষমতা ও দক্ষতার অভাব। স্বাস্থ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি খাতে এ রকম সক্ষমতার অভাব, ব্যর্থতা মেনে নেয়া যায় না।

আলোচনায় অন্যদের মধ্যে সরকারি দলের সাংসদ সরওয়ার জাহান, আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দীন, আনোয়ারুল আজিম, শাহে আলম, ছলিম উদ্দিন তরফদার প্রমুখ অংশ নেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএস/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত