ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

দেশের স্বার্থে যেখানে প্রয়োজন, সেখানেই তদবির

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২২, ১৬:৩৫  
আপডেট :
 ১৪ জানুয়ারি ২০২২, ১৬:৫৮

দেশের স্বার্থে যেখানে প্রয়োজন, সেখানেই তদবির

দেশের স্বার্থে যেখানে প্রয়োজন, সেখানেই সরকার তদবির চালাবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। শুক্রবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ল’অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স শেষে এ কথা বলেন তিনি।

ড. মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আইনে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ দেয়া স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এবং যেখানে প্রয়োজন সেখানে বাংলাদেশ তাদের ব্যবহার করবে। আমাদের দেশে এটিকে আমরা তদবির বলি। যেখানে দরকার হবে সেখানে আমরা তদবির চালাব। দেশেও তো কাজ করতে গেলে অনেক সময় তদবির লাগে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সব দেশের গণতন্ত্রেই কিছুটা অপরিপক্কতা আছে। বাংলাদেশও পরিপক্ক হওয়ার চেষ্টা করছে। সন্ত্রাস দমনে র‍্যাব কাজ করছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরও এ কথা স্বীকার করেছে।

র‍্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ নতুন করে লবিস্ট নিয়োগ করবে কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি এসব বলতে পারব না। লবিস্ট নিয়োগ যুক্তরাষ্ট্রের একটি সাধারণ প্র্যাকটিস। বাংলাদেশ ২০১৩-১৪ সালে লবিস্ট নিয়োগ দিয়েছিলো। ওরা কাজ করছে।

তিনি জানান, সময়-সময় আমাদের অনেক ধরনের দুর্যোগ আসে। আমরা সেগুলো সমাধান করি। এখনো হয়ত একটা অসুবিধা আসছে। কিন্তু আমরা এটা সমাধান করতে পারব। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অনেক ধাক্কা আসে এবং সব গণতন্ত্রে অপূর্ণতা আছে। আমাদের কোথাও যদি কোনো ঘাটতি থাকে, দুর্বলতা থাকে, তবে অবশ্যই আমরা সেটা ঠিক করার চেষ্টা করব।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র পরিপক্ব জাতি। তারা দেখবে। যদিও র‍্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, গত কয়েক বছরে সন্ত্রাস কমেছে। এটা তাদের নিরপেক্ষ সমীক্ষা। সেগুলো নিয়ে তারা চিন্তাভাবনা করবে। পৃথিবীজুড়ে সন্ত্রাস দূর করা ও সন্ত্রাসীদের ধরা তাদের লক্ষ্য। মাদক ও মানব পাচার কমানো তাদের লক্ষ্য। র‍্যাব এগুলো সফলভাবেই করছে। এ কারণেই র‍্যাব জনগণের আস্থা অর্জন করেছে। আমার মনে হয় সবাই এটা বুঝবে। তখন হয়ত অবস্থার পরিবর্তন হবে।

উল্লেখ্য, ‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ অভিযোগ তুলে গত ১০ ডিসেম্বর র‌্যাব এবং প্রতিষ্ঠানের সাবেক ও বর্তমান ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এদের মধ্যে র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) এবং বর্তমান মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদও রয়েছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত