ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

মির্জা ফখরুলের ৭৫তম জন্মদিন আজ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৬ জানুয়ারি ২০২২, ১২:৫১

মির্জা ফখরুলের ৭৫তম জন্মদিন আজ
ছবি সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ৭৫তম জন্মদিন আজ বুধবার। ১৯৪৮ সালের এই দিনে ঠাকুরগাঁওয়ে জন্মগ্রহণ করেন দেশের প্রবীণ এই রাজনৈতিক নেতা।

এদিনে প্রবাস থেকে বড় মেয়ে মির্জা সামারুহ, ঢাকার বনানীর ডিওএইচএসের বাসা থেকে বড় বোন আনারকলি ফরহাদ বানু নাগিনা আমিনের (সাবেক সেনা প্রধান জেনারেল মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী) টেলিফোনে তার ঘুম ভেঙেছে বলে জানান মির্জা ফখরুল।

জীবন চলার অনুভূতিটা জানতে চাইলে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ৭৪ বছর থেকে ৭৫ বছরে পা দিলাম। বলতে পারেন একটা লং জার্নি। এই ৭৪ বছরে বহু পরিবর্তন দেখেছি, দেশের পরিবর্তন লক্ষ্য করেছি। বহু জীবন দেখেছি। অনুপ্রাণিত হয়েছি। বেঁচে থাকার অর্থ খুঁজে পেয়েছি। জীবনকে সুন্দর মনে হয়েছে।যদিও বাংলাদেশের মানুষের এখন খারাপ সময় যাচ্ছে। তবুও মনে হয়েছে, এই ৭৪ বছরে জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, এই সংগ্রামী মানুষ কখনো পরাজিত হয় নাই। আশার আলো দেখি। বিশ্বাস করি, পরিবর্তন আসবেই। মানুষ ভালো থাকবে।

করোনার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, করোনা নেগেটিভ হলেও এখনো দুবর্লতা কাটেনি। সকাল বেলা স্ত্রীও জন্মদিনের উইস করেছে। লন্ডন থেকে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সিনিয়র নেতারাও টেলিফোন করেছেন। জন্মদিনটায় এভাবেই যাচ্ছে।

বন্ধু, স্বজন, নেতা-কর্মী ছাড়াও কয়েকজন বিদেশী বন্ধুও সকালে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, জন্মদিন মানে আরো একটি বছর চলে গেছে। বড় মেয়ে অস্ট্রেলিয়াকে থেকে টেলিফোন করেছে, মেয়ে, তার জামাই হ্যাপি বার্থে ডে বলল। ছোট মেয়ে ঢাকায় থাকে, সেও উইশ করেছে।’

দুই মেয়েকে নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রাহাত আরা বেগমের সংসার। বড় মেয়ে মির্জা শামারুহ অস্ট্রেলিয়ায় স্বামী-সন্তা নিয়ে আছেন। সেখানে সিডনির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট ডক্টরিয়াল ফেলোশিপ নিয়ে এখন ক্যানবেরার ফেডারেল মেডিকেল কাউন্সিলের সিনিয়র সাইন্টিস্ট হিসেবে কাজ করছেন। আর ছোট মেয়ে মির্জা সাফারুহ ঢাকার ধানমন্ডির ‘স্যানি ডেল’ স্কুলে শিক্ষকতা করেন।

ছাত্রজীবনে থেকে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ফখরুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন শাখার সভাপতি এবং এসএম হল শাখার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে শিক্ষাগতা পেশায় যোগ দেন। তিনি ঢাকা কলেজে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ছিলেন।

১৯৮৬ সালে সরকারি চাকুরি ছেড়ে সক্রিয় রাজনীতিতে আসেন মির্জা ফখরুল। ১৯৮৮ সালে ঠাকুরগাঁও পৌর সভার প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান হন। ছাত্র জীবনের বাম রাজনীতি থেকে মির্জা ফখরুলের জাতীয় রাজনীতিতে হাতেকড়ি মজলুম জননেতা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর দল ন্যাপে। সেখান থেকেই তার বিএনপিতে আসা।

মির্জা ফখরুলের বিএনপির রাজনীতির শুরুটা একেবারে তৃণমূল থেকে। প্রথমে ১৯৯২ সালে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি দিয়ে। পরে দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য থেকে শুরু করে মির্জা ফখরুল সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব, ২০১১ সাল থেকে দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এবং ২০১৬ সালে ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে পুর্ণাঙ্গ মহাসচিব নির্বাচিত হন তিনি।

বিএনপির শীর্ষ পর্য়ায়ের নেতৃত্বে আসার আগে তিনি জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের প্রথম সহসভাপতি এবং পরে সভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন দীর্ঘদিন।

ঠাকুরগাঁও আসনে বিএনপি থেকে দুই বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি এবং এবং প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা হিয়ার সরকারের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে উপ প্রধানমন্ত্রী এস এ বারীর একান্ত সচিবও ছিলেন।

২০১৮ সালে একাদশ নির্বাচনে বগুড়া-৬ আসন থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি শপথ গ্রহণ না করায় ওই আসনের উপনির্বাচনে বিএনপির জিএম সিরাজ নির্বাচিত হন।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএস/এএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত