ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

বানভাসী মানুষের জন্য গণচাঁদা তুলবে বিএনপি

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২১ জুন ২০২২, ২১:১১

বানভাসী মানুষের জন্য গণচাঁদা তুলবে বিএনপি

বানভাসী মানুষকে সহযোগিতা করতে অর্থ সংগ্রহ করবে বিএনপি। এজন্য সাধারণ জনগণের কাছ থেকে গণচাঁদা তুলবে দলটি। আগামী ২৩ জুন থেকে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে এই কার্যক্রম শুরু করবে তারা।

মঙ্গলবার বিকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান স্থায়ী কমিটির সদস্য ও দলের ত্রাণ কমিটির আহবায়ক ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি এ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান

টুকু বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামী ২৩ তারিখ থেকে লিফলেট বিতরণ করবো। লিফলেটে তাদের (জনগণের) কাছে আমরা ভিক্ষা চাইবে। যে যা দেয়- এক টাকা দেন, ৫০ পয়সা দেন- সবার কাছ থেকে আমরা ভিক্ষা চাইব। এটা গচ্ছিত করব। গচ্ছিত করে এটা বন্যার্তদের কাছে পাঠিয়ে দেব।

তিনি বলেন, এটা করার মূল কারণটা হচ্ছে, আমরা জনগণের দল। ১০ জনের কাছ থেকে অর্থ নেয়ার চাইতে কোটি জনের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে করা, যাতে জনগণ জানে যে সে পার্টিসিপেশনট করেছে। আমরা সেটা বাহক হিসেবে দিয়ে আসলাম। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই কার্যক্রমের অনুমোদন দিয়েছেন। চেয়ারম্যানের নির্দেশ বন্যার্তদের জন্য ঝাপিয়ে পড়তে হবে। প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে কাফেলায় বের হয়ে মানুষের কাছ থেকে সাহায্য চাইতে হবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, বন্যার পর থেকে বিএনপি মাঠ পর্যায়ে পানিবন্দি মানুষের পাশে আছে। তারা দিনরাত কাজ করছেন। আমাদের নেতাকর্মীরা প্রতিদিন গড়ে ১০/১২ হাজার লোককে রান্না করে খাবার খাওয়াচ্ছে। প্রতিদিন নৌকা ভাড়া করে প্রায় ৫শ পানিবন্দি লোককে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসছে।

তিনি বলেন, এক সিলেটের বন্যা দিয়ে বন্যা শেষ হবে না। আমরা ভাটির দেশের লোক। উজানের আসামে যতই বৃষ্টি হবে, ততই বাংলাদেশের প্রত্যেকটা জেলায় পানি ঢুকতে শুরু করবে। পানি সারাদেশে ঢুকেছে। সেজন্য বলছি, আমাদের এই কাজটা কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি।

বানভাসী মানুষের জন্য বিএনপি ৩ পর্যায়ে কাজ করবে জানিয়ে তিনি বলেন, একটা হচ্ছে- মানুষের জীবন বাঁচানো। পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে এনে তাদের খাবার সরবারহ করা। তারপরে যখন বন্যার পানি নেমে যাবে, তখন তাদের পূর্ণবাসনের কাজ শুরু করা, বন্যা কবলিত এলাকায় মানুষজনের রোগ-বালাই হবে। তাদের চিকিৎসা সেবা দেয়া-ইত্যাদি কাজগুলো করতে হবে। আমরা একটা কম্প্রিহেনসিভ প্রোগ্রাম নিয়েছি।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত