ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

ঢাবি'র ক্লাবে আমাদের উপস্থিতি নিয়ে নাটক হচ্ছে: রিজভী

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২২ জুন ২০২২, ১৫:০১

ঢাবি'র ক্লাবে আমাদের উপস্থিতি নিয়ে নাটক হচ্ছে: রিজভী
ছবি: প্রতিনিধি

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাবে আমাদের উপস্থিতি নিয়ে নাটক শুরু করেছে। পদ্মা সেতুর দুর্নীতি এবং সিলেটসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বন্যা মোকাবেলায় ব্যর্থতা, প্রচন্ড মুদ্রাস্ফীতির কারণে সরকারের উপর জনগণের তীব্র ক্ষোভকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতেই এ নাটক।

বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের সভাপতি ওবায়দুল ইসলামের আমন্ত্রণে গত শনিবার রাতে ক্লাবে যান রুহুল কবির রিজভী। সেখানে রাত ১টা পর্যন্ত তিনি অবস্থান করেন। সঙ্গে তার স্ত্রী ও কয়েকজন বন্ধু ছিলেন। এ ঘটনায় ক্লাবের সভাপতি বিএনপি সমর্থিত সাদা দলের শিক্ষক এ বি এম ওবায়দুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ এবং ঘটনা অনুসন্ধানে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

রিজভী বলেন, শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে ইউট্যাব'র একটি ঘরোয়া দাওয়াতে আমি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ও তিনজন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলাম। আমন্ত্রিত অতিথিসহ সব মিলিয়ে ১০ থেকে ১২ জন উপস্থিত ছিলেন। এখানে যদি নাশকতার কোনো পরিকল্পনা করা হতো, তাহলে সিসিটিভি’র ক্যামেরার আওতার মধ্যে কিভাবে আমরা ডাইনিং কক্ষে গিয়ে বসলাম। সেখানে অনেকেই সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন। এটিকেই এখন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং তাদের দলদাস কিছু শিক্ষক।

তিনি বলেন, বিভিন্ন সংগঠনের নামে তারা ষড়যন্ত্র করে আমাদের বিরুদ্ধে নানা কর্মসূচি দিয়ে আমিসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ওবায়েদকে গ্রেপ্তারের জন্য দাবি জানাচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের দলদাস প্রশাসন ড. ওবায়েদকে নানাভাবে হয়রানি করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যেন এক্সপোর্ট প্রমোশন জোনের মতো আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের প্রমোশন জোনে পরিণত হয়েছে। আর এদেরকে ছত্রছায়া দিচ্ছে দলদাস বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আসলে এক দেশে দুই আইন। ক্লাবসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর আওয়ামী নেতা-মন্ত্রীদের অভয়ারণ্য। অনেক রাত পর্যন্ত তারা ক্লাবে আড্ডা দেয় এবং লংটেনিস খেলাসহ নানাবিধ কর্মকাণ্ড চালায়। তাদের জন্য সাত খুন মাফ। অথচ কোন শিক্ষকের আমন্ত্রণে বিরোধী দলের কোন নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু সময়ের জন্য সেখানে অবস্থান করলেই তারা সেখানে নাশকতার গন্ধ পায়। এমনকি অন্য দেশের অনেক শিক্ষক-বুদ্ধিজীবীকে অহরহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়, যেটিতে অধিকাংশই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের অগোচরে ব্যক্তিগত বা বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তারা দিব্যি সারা বিশ্ববিদ্যালয়ে দাপিয়ে বেড়ায়।

মূলত, রাষ্ট্র বিরোধী দলের ওপর অত্যাচার করছে বা প্রতিশোধ নিচ্ছে। সরকার তাদের সমালোচনাকারীদের কড়া নজরদারীর মধ্যে রেখেছে। এখন বাংলাদেশের মানুষের দেহ ও মন সার্বক্ষণিক নজরদারীর মধ্যে।

তিনি আরও বলেন, এ সমস্ত ষড়যন্ত্র তত্ত্ব মূলত, দমনমূলক তত্ত্ব। পদ্মা সেতু নিয়ে সরকার যত সমালোচনার মুখে পড়েছে সেটিকে আড়াল করতেই তারা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব সাজিয়েছে। এই সেতু নিয়ে দুর্নীতি পাগলা ঘোড়ার মতো বেসামাল হয়ে পড়েছে। মানুষের সমালোচনাকে বাকরুদ্ধ করার জন্যই দমননীতি কার্যকর করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এএইচ/রাজু

  • সর্বশেষ
  • পঠিত