ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

জামায়াত নিয়ে বিভ্রান্তির সুযোগ নেই

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০২২, ১৭:৫০

জামায়াত নিয়ে বিভ্রান্তির সুযোগ নেই

বিএনপির বৃহত্তর ঐক্যে জামায়াত থাকছে- এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন হলে ওভারসিজ করসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ওকাব) ‘মিট দ্যা ওকাব’ অনুষ্ঠানে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে দলীয় লক্ষ্য তুলে ধরতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব এ ইঙ্গিত দেন।

আন্দোলনে জামায়াত ইসলামী অবস্থান কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সব রাজনৈতিক দলের সাথে কথা বলছি একটা জাতীয় ঐক্য তৈরি করার জন্য। সেখানে এখন পর্যন্ত যতগুলো রাজনৈতিক দলের সাথে কথা বলেছি একটা বিষয় আমরা সবাই একমত হয়েছি যে, আমরা যুগপৎ আন্দোলনে যাবো। সুতরাং এখানে এ বিষয়ে কোনো বিভ্রান্তির সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, এখন রাজপথেই একমাত্র সমাধান। সরকার যদি নিজেরা উদ্যোগ না নেয় অর্থাৎ এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা যে দাবিগুলো করেছি তা যদি না মানে- রাজপথেই একমাত্র সমাধান। বাংলাদেশে বেশিরভাগ সময় দেখা গেছে যে, জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিবর্তন হয়। আমরা অত্যন্ত আশাবাদী এবং আত্মবিশ্বাসী যে, এবার জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন নিয়ে আমরা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, আন্দোলনের মধ্য দিয়েই এই সরকারের পরিবর্তন আনতে পারব।

দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্ভব নয় উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন তখনই সম্ভব হবে যখন দেশে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার থাকবে। ওই সরকারের অধীনে একটি যে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে সেই কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। তারপর আগে কোনো নির্বাচন কমিশনের পক্ষেই সম্ভব নয়। শুধু আমাদের কথা নয়, আগের এটিএম শামুসুল হুদা যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন তিনিও বলেছেন দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অত্যন্ত জটিল। পরবর্তীকালে কেএম নুরুল হুদা সাহেব ২০১৮ সালে একটা অত্যন্ত কলঙ্কময় নির্বাচন অনুষ্ঠান করেছেন তিনিও পরে বলেছেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অত্যন্ত কঠিন।

আর বর্তমানে যিনি আছেন তিনি তো একেবারে হাল ছেড়ে দিয়েছেন মনে হয়। তিনি অলরেডি বলেই দিয়েছেন দলীয় সরকারের অধীনে খুব কঠিন হচ্ছে এবং এখানে যদি বিএনপি না আসে বা মূল বিরোধী দল যদি না আসে সেই নির্বাচন অর্থবহ হবে না। সেজন্য আমাদের মূল কথাটাই হচ্ছে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার এটাই হচ্ছে আমাদের দাবি।

নির্বাচনকালীন সরকারের এজন্য সরকারকেই সংসদে আইন আনতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা সরকারকেই সরকারকেই হবে। আমরা তো তাই করেছিলাম ১৯৯৬ সালে। নতুন সংসদ হওয়ার পরে সারারাত জেগে সংসদ আইন পাস করে আমরা পদত্যাগ করেছিলাম। সংসদ বাতিল করা হয়েছিল। সেই নির্বাচনে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ১১৬টা আসনে বিরোধী দলে বসেছিলো। আমরা মেনে নিয়েছি। দ্যাট ইজ ডেমোক্রেসি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ব্যাক ডোর বলে কোনো কথা নেই। আমাদের যা কিছু সব ফ্রন্ট ডোর। আমরা সবসময় সামনে থেকে প্রকাশ্যে একেবারে জনসভার মধ্য দিয়ে ঘোষণা দিচ্ছি যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বা নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া বিএনপিসহ অনেকগুলো রাজনৈতিক দল আছে তারা ইতোমধ্যে বলে দিয়েছে কোনো নির্বাচনে যাবে না।

তাহলে কোনো সহিংসতায় যাচ্ছেন কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এটা নির্ভর করবে সরকারের ওপর। এই সরকার এখন ড্রাইভিং সিটে। প্রত্যেকবারই সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হয় যেকোনো রাজনৈতিক সংকটের সমাধান কারার জন্য।

অনুষ্ঠানে ওকাবের আহ্বায়ক বিবিসির সংবাদদাতা কাদির কল্লোল ও সদস্য সচিব জার্মান নিউজ এজেন্সি-ডিপিএ’র সংবাদদাতা নজরুল ইসলাম মিঠুর সঞ্চালনায় ওকাবের জ্যেষ্ঠ সদস্য ফরিদ আহমেদ মূল মঞ্চে ছিলেন। মিট দ্যা ওকাব অনুষ্ঠানে বিএনপির মিডিয়া সেলের জহির উদ্দিন স্বপন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এএইচ/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত