ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

শিগগিরই আসছে সাতদলীয় গণতন্ত্র মঞ্চের সিদ্ধান্ত

  আকরাম হোসেন

প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২২, ১৯:৫৩

শিগগিরই আসছে সাতদলীয় গণতন্ত্র মঞ্চের সিদ্ধান্ত
গত মে মাসে কয়েকটি বৈঠক করে ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ (সংগৃহীত ছবি)

সরকার ও শাসনতন্ত্র পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে একমত হয়ে রাজনৈতিক জোট গঠনের ঘোষণা দিয়েছিল সাতটি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম ঠিক হয় ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’। গত জুনে এই জোটের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ হওয়ার কথা থাকলেও নানা কারণে তা থমকে যায়। বিরতির পর আবারো কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে তারা। খুব শিগগিরই আসছে সিদ্ধান্ত। এ মাসের শেষে অথবা আগস্টের শুরুতে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে। কর্মসূচির মধ্য দিয়েই আত্মপ্রকাশের কথা জানিয়েছে নেতৃবৃন্দ।

দল সাতটি হলো— জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, নাগরিক ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।

বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না বলে নীতিগতভাবে একমত হয় এই সাতটি দল। পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি উত্থাপন করে তারা। একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন ও শাসনতন্ত্র পরিবর্তনই এ জোটের মূল লক্ষ্য।

গণসংহতির প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, আত্মপ্রকাশে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যে আমাদের বৈঠক হবে। এরপরই আমরা আত্মপ্রকাশের কর্মসূচিতে চলে যাব।

সরকার ও শাসনতন্ত্র বদলাতে জোট গঠন করছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। তারপরে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনও হবে। সংবিধান বদলানোর মাধ্যমে শাসন ব্যবস্থা বদলানোর ব্যাপারে কাজ করছি। আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারকে বাধ্য করতে হবে। এটা বাংলাদেশে নতুন কিছু না। আওয়ামী লীগও ১৯৯৬ সালে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে বাধ্য করেছিল। আওয়ামী লীগ জানে কীভাবে বাধ্য হয়।

বিএনপির বৃহত্তর ঐক্য গঠনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরাও বৃহত্তর ঐক্য করতে কাজ করে যাচ্ছি। এর অংশ হিসাবে আমরা সাত দল গঠন করেছি। সবাই এক সাথে কাজ করব। যাদের সাথে এক হয়ে এই মুহূর্তে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না, তাদের সাথে যুগপৎ ধারায় কাজ করার আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহামুদুর রহমন মান্না বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, ব্যস্ততার কারণে বৈঠকের তারিখ চূড়ান্ত করা হয়নি। খুব শিগগিরই হবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে তারিখ চূড়ান্ত করতে পারব। এর পরের সপ্তাহে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে।

তিনি বলেন, সমস্ত বিরোধী দল একমত হয়েছে যে, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। এই নির্বাচন কমিশন চলবে না, বাতিল করতে হবে। এবং একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার করতে হবে- এই ভিত্তিতে সাতটি দল একত্রিত হয়েছি।

গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নূর বলেন, এই মাসের শেষের দিকে একটা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে চাই। ঘোষণার সময় কর্মসূচি থাকবে। যার ভিত্তিতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাবো।

তিনি বলেন, বর্তমান সঙ্কট উত্তরের জন্য সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দল একমত যে, সংসদ বাতিল, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করতে হবে। এটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নামেও হতে পারে আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার নামেও হতে পারে।

ডাকসুর সাবেক এই ভিপি আরো বলেন, আমরা মনে করি না যে শুধু একটা নির্বাচন হলেই সংকট থেকে উত্তরণ ঘটাতে পারব। সংকট উত্তরণের জন্য রাষ্ট্রের কিছু সংস্করণ দরকার, সাংবিধানিক সংস্করণ দরকার, প্রশাসনিক সংস্করণ দরকার। এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আমাদের জোটের রূপরেখা থাকবে।

সাতটি রাজনৈতিক দলের ঐক্যের মুখে বাম গণতান্ত্রিক জোটে অস্থিরতা দেখা দেয়। পরে বাম গণতান্ত্রিক জোট ছাড়ে গণসংহতি আন্দোলন ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এএইচ/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত