ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

ছাত্রদলের সমাবেশে নূরে আলম ও আব্দুর রহিমের প্রতীকী লাশ

  আকরাম হোসেন

প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০২২, ১৬:৩৮  
আপডেট :
 ০৬ আগস্ট ২০২২, ১৬:৪৯

ছাত্রদলের সমাবেশে নূরে আলম ও আব্দুর রহিমের প্রতীকী লাশ
ছবি: প্রতিনিধি

দুই খাটে কাফনে মোড়া দুটি লাশ। খাট কাঁধে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে কয়েকজন তরুণ। একটি লাশের গায়ে লেখা নূরে আলম। অপরটির গায়ে লেখা আব্দুর রহিম। লাশ দুটি ঘিরে রয়েছে আরো কিছু তরুণ। কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে তারা স্লোগান তুলেছে- আমার ভাইয়ের রক্ত- বৃথা যেতে দেবো না। বৃথা যেতে দেবো না- আমার ভাইয়ের রক্ত। নূরে আলমের রক্ত- বৃথা যেতে দেবো না। রহিমের রক্ত- বৃথা যেতে দেবো না।

পুলিশের গুলিতে ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম নিহত হওয়ার ঘটনায় নয়াপল্টনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। সামাবেশে প্রতীকী এ লাশ নিয়া এসেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদল।

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি জুবায়ের রহমান জিকু বলেন, ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিমের লাশ। পুলিশের গুলিতে আমার ভাইয়েরা শহীদ হয়েছে। এ লাশ শুধু তাদের লাশ না, সমগ্র বাংলাদের চিত্র এটা। আমরা জানি বর্তমান সরকারের অধিনে আমার ভাই হত্যার বিচার হবে না। আমরা আমাদের ভাই হত্যার বিচার অবশ্যই করবো।

সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নূরে আলম ও আব্দুর রহিমের হত্যা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটা একটা সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আওয়ামী লীগ আজকে ক্ষমতায় টিকেই আছে হত্যা-ঘুম-খুন এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে।

নূরে আলম ও আব্দুর রহিমের যে আত্মত্যাগ- সেই আত্মত্যাগ গণতন্ত্রের জন্য যে লড়াই, যে যুদ্ধ সেই যুদ্ধকে আরো বেগবান করবে বলে মনে করেন বিএনপির এই নেতা।

ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদত সাইফ মাহমুদ জুয়েল বলেন, নূর হোসান থেকে নূরে আলম। নূর হোসের হত্যা করেছিলো এরশাদ সরকার। তার হত্যার পর এরশাদ সরকারের পতন হয়েছিলো। আর নূরে আলমের হত্যা করছে আওয়ামী লীগ সরকার। শেখ হাসিনার সরকারেরও পতন হবে।

গত ৩১ জুলাই বিদ্যুতের লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে ভোলায় প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের গুলিতে আহত হয় জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলম। ৩ আগস্ট বেলা ৩টা ১০ মিনিটে রাজধানীর গ্রিন রোডের কমফোর্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এর আগে এ ঘটনায় নিহত হয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম। ৩০ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হয়। বর্তমানে ১৯ জন নেতাকর্মী বরিশাল ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ ঘটনায় ৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। আজকের সমাবেশ ছাড়াও আগামীকাল ৭ আগস্ট জাতীয়তাবাদী কৃষকদল ঢাকাসহ সারাদেশে প্রতিবাদ সমাবেশ করবে, ৮ আগস্ট যুবদল ঢাকায়, ১০ আগস্ট শ্রমিক দল ঢাকায়, ১১ আগস্ট নারী দল ঢাকায় ও আগামী ১২ আগস্ট জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে ঢাকাসহ দেশজুড়ে সমাবেশ হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এএইচ/রাজু

  • সর্বশেষ
  • পঠিত