ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

নামাজরত মুসল্লিদের আটক করায় জামায়াতের নিন্দা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৩, ১৯:৫১

নামাজরত মুসল্লিদের আটক করায় জামায়াতের নিন্দা
জামায়াতের আটক নেতাকর্মী। সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর গুলশান থেকে ১৭ জনকে আটক ও রিমান্ড মঞ্জুরের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ। এক বিবৃতিতে নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন এবং ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মো. রেজাউল করিম এ প্রতিবাদ জানান। তাদেরকে কুরআন শিক্ষা কেন্দ্র থেকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে জামায়াত।

বুধবার ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের প্রচার সম্পাদক মু. আতাউর রহমাননের স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান নেতৃবৃন্দ।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গুলশানের শাহজাদপুর এলাকার একটি কুরআন শিক্ষা কেন্দ্র থেকে তারাবিহ নামাজরত ইমাম, দুই নারী ও শিশুসহ ১৭ মুসল্লিকে গুলশান থানা পুলিশ তুলে নিয়ে যায়। আটককৃতদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিতে থানায় আত্মীয় স্বজন গেলে তাদের মধ্য থেকে আরও ৮জনকে আটক করে পুলিশ। এটি দেশের নাগরিকদের আইনের শাসনের অধিকার ক্ষুন্ন করার শামিল।

‘ইসলামিক সেন্টার থেকে আটককৃতদের বিশেষ ক্ষমতা এবং বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের গুলশান থানার ৩১(৩)২৩ মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। যা ইতিহাসের চরম হয়রানি ও নিপীড়নের উদাহরণ। পুলিশ পূর্বের মতোই বলে দিয়েছে তারা নাকি নাশকতার জন্য একত্রিত হয়েছিলেন।’

নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, পুলিশ দাবি করেছে জামায়াতের বই পুস্তকের সাথে সেখানে ককটেল পেয়েছে! এমন নির্লজ্জ মিথ্যাচারে গোটা জাতি হতবাক। বিভিন্ন গণমাধ্যম ইতোমধ্যে ঘটনার বিষয়ে সবিস্তারে খবর ছেপেছে। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার এক নম্বর সাক্ষী রাসেল মিজি একটি জাতীয় পত্রিকাকে বলেছেন, পুলিশ তাকে সোমবার রাত ১১টার দিকে ডেকে নিয়ে সাক্ষী করে। তিনি কিছু মানুষের জটলা দেখেছেন। কিন্তু কী ঘটেছে তা জানেন না। তবে পুলিশের কাছে শুনেছেন তারা জামায়াতের নেতাকর্মী। তবে সেখানে তিনি কোনো ককটেল দেখেননি। এতেই প্রমাণিত হয় যে ঘটনাটি সম্পূর্ণ সাজানো ও পরিকল্পিত।

নেতৃবৃন্দ বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, পুলিশ দাবি করছে তারা জামায়াত শিবিরের কর্মী। প্রশ্ন হলো জামায়াত শিবির কি তারাবির নামাজ পড়তে পারবে না? আইন অমান্য করে কোনো অপরাধে জড়িত থাকলে গ্রেপ্তার মেনে নেয়া যায়। কিন্তু শুধুমাত্র জামায়াত শিবিরের সাথে কথিত জড়িত থাকার দায়ে নামাজরত অবস্থাতেও গ্রেপ্তার করা চরম বাড়াবাড়ি নয় কী?

নেতৃবৃন্দ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আটককৃত মুসল্লিদের মধ্যে ওমরা হজ পালন করার জন্য প্রস্তুতি নেয়া ৬ জন মুসল্লি রয়েছে, যাদের হজ পালন করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আমরা অবিলম্বে আটককৃত সকলের মুক্তি এবং হজপালন করার সুযোগ করে দেয়ার আহ্বান জানাই।

বাংলাদেশ জার্নাল/এএইচ/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত