ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

সিরাজুল আলম খানের দাফন হবে মায়ের শাড়িতে মুড়ে

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১০ জুন ২০২৩, ০০:১১

সিরাজুল আলম খানের দাফন হবে মায়ের শাড়িতে মুড়ে
ফাইল ছবি

শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেইটে সিরাজুল আলম খানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) দপ্তর সম্পাদক কামরুল আহসান অপু এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানান।

শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সকাল ১০টায় বায়তুল মোকাররমে প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে নোয়াখালীর গ্রামের বাড়িতে। বাদ আছর বেগমগঞ্জ উপজেলার বেগমগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে আলিপুর গ্রামের সাহেববাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে সিরাজুল আলম খানের দাফন সম্পন্ন হবে।

মরহুম রাজনীতিবিদের ছোটভাই ফেরদৌস আলম খান জানান, দাদাভাইর ইচ্ছা অনুযায়ী মায়ের শাড়িতে মুড়িয়ে মা-বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।

উল্লেখ্য, সিরাজুল আলম খান বলে গিয়েছিলেন, আমার মৃত্যুর পর কোনো শোকসভা হবে না। শহীদ মিনারে ডিসপ্লে হবে না লাশ। যত দ্রুত সম্ভব নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে আমার গ্রামের বাড়িতে পাঠাতে হবে মরদেহ, যা ঢাকা থাকবে একটা কাঠের কফিনে। মায়ের একটা শাড়ি রেখে দিয়েছি। কফিনটা শাড়িতে মুড়ে মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে, মায়ের কবরে।

সিরাজুল আলম খানকে বৃহস্পতিবার রাতে লাইফসাপোর্টে নেয়া হয়। তিনি উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট এবং ফুসফুসে সংক্রমণসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।

গত ৭ মে থেকে রাজধানীর শমরিতা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তার। ২০ মে তাকে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। এর আগে ২০২১ সালে অসুস্থ হয়ে কিছুদিন তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

স্বাধীনতালগ্নে তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা সিরাজুল আলম খান, আব্দুর রাজ্জাক ও কাজী আরেফ আহমেদের নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ বা স্বাধীনতার নিউক্লিয়াস গঠিত হয়। পরে ছাত্র-তরুণদের আন্দোলন সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তারা। বঙ্গবন্ধুরও ঘনিষ্ঠ সাহচর্যে ছিলেন এই ছাত্রনেতারা।

স্বাধীন হওয়ার পরপরই শেখ ফজলুল হক মনির সঙ্গে সিরাজুল আলম খানের বিরোধের জের ধরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ভেঙে দুই ভাগ হয়। সিরাজুল আলম খানের অনুসারী ছাত্রলীগ ১৯৭২ সালে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) গঠন করে।

তিনি কখনও মূল নেতৃত্বে না এলেও জাসদ নেতাদের ‘তাত্ত্বিক গুরু’ হিসেবে পরিচিত। তাকে সবাই ‘দাদা ভাই’ নামেই ডাকতেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত