ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ আপডেট : ১৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিচ্ছেন শমসের মোবিন চৌধুরী-তৈমূর আলম খন্দকার

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:০০  
আপডেট :
 ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:৪০

তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিচ্ছেন শমসের মোবিন চৌধুরী-তৈমূর আলম খন্দকার
তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিচ্ছেন শমসের মোবিন চৌধুরী-তৈমূর আলম খন্দকার। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সরকারের সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদার তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিচ্ছেন বিএনপির সাবেক দুই নেতা। তারা হলেন- বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মোবিন চৌধুরী ও বিএনপির চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। আগামী মঙ্গলবার দলের কাউন্সিলে নতুন নেতৃত্ব ঠিক হওয়ার কথা রয়েছে। রাজনৈতিক মহলে আলোচনা তৃণমূল বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে আসছেন তারা।

নাজমূল হুদার প্রতিষ্ঠিত তৃণমূল বিএনপির বর্তমান চেয়ারম্যান তার মেয়ে অন্তরা হুদা এবং মহাসচিব মেজর (অব.) ডা. শেখ হাবিবুর রহমান। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন পাওয়ার পরপরই দলের প্রতিষ্ঠাতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা মৃত্যুবরণ করেন। এর পর দলটির নেতৃত্ব নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। নাজমুল হুদার মৃত্যুর অনেকদিন পর অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে তার মেয়ে অন্তরা হুদা দলের নেতৃত্বে আসেন। সম্প্রতি ঢাকা-১৭ আসনে উপ-নির্বাচনে অংশ নেয় তার দল। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে দলটির শীর্ষ নেতৃত্বে পরিবর্তন আসছে বলে শোনা যাচ্ছে।

তৃণমূল বিএনপির একাধিক নেতা জানান, নিয়ম রক্ষার কাউন্সিল করে দলের চেয়ারম্যান অন্তরা হুদাকে সরিয়ে নতুন কমিটি গঠনের কাজ চলছে। শমসের মোবিন চৌধুরী এর আগেও তৃণমূল বিএনপির নেতৃত্বে আসতে চেয়েছিলেন বলে জানান তারা।

এদিকে, ২০১৫ সালে শমসের মোবিন চৌধুরী বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে ২০১৮ সালে বিকল্প ধারায় যোগ দেন। শুরুতে সক্রিয় থাকলেও এখন দলটির কার্যক্রমে তাকে দেখা যায় না। তবে বিভিন্ন সময় কূটনেতিক পাড়ায় তাকে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে নারায়নগঞ্জ সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হওয়ায় ২০২২ সালে তৈমূর আলম খন্দকারকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। তারপরও দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি। ভুল স্বীকার করে দলে ফেরার জন্য লিখিত আবেদনও করেন। কিন্তু দল থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া পাননি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, ‘আমি রাজনীতি করি। দল থেকে আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অনেক দিন চেষ্টা করেছি; কিন্তু সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এখন একটি প্লাটফর্মে তো যেতে হবে! তবে সেটি অবশ্যই আওয়ামী লীগ হতে পারে না।’ বিএনপির সঙ্গে মিল আছে- এমন একটি প্লাটফর্মই বেছে নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে চেষ্টা করেও শমসের মোবিন চৌধুরীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে তৃণমূল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব শেখ হাবিবুর রহমান বলেন, শুধু শমশের মবিন বা তৈমুর আলম খন্দকারই নন, বিএনপির সাবেক নেতাদের আরও অনেকে তাঁদের দলে যোগ দেবেন। ১৯ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে দলের কাউন্সিল হবে।

এ ব্যাপারে তৃণমূল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অন্তরা হুদা সাংবাদিকদের বলেন, ‘দলের গঠনতন্ত্রে চেয়ারম্যানের পাশাপাশি কো-চেয়ারম্যানের পদও থাকছে। শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমূর আলম খন্দকার দলে যোগ দিচ্ছেন। তাঁরা ভালো পদে থাকবেন বলে আশা করি। তবে বিএনপি ভাঙার কোনো ইচ্ছা আমাদের নেই। আর যারা যোগ দেবেন, তারা বিএনপির কোনো পদে তো নেই। কাউন্সিলে আরো চমক আছে। আরও অনেকে যোগ দেবেন।

আমরা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি। তবে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি দলের রয়েছে। নির্বাচনে অংশ নিলেই আমরা সরকারের দালাল হয়ে গেছি, এটা তো ঠিক না। তবে আমরা কোনো জোটে যাব কি না, সেটি এখনো ঠিক করিনি।

প্রসঙ্গত, তৃণমূল বিএনপি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর একটি। দলটির প্রতীক সোনালি আঁশ। ইসিতে নিবন্ধিত হওয়ায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজেদের প্রতীকে ভোট করতে পারবে দলটি। আগামী ডিসেম্বরের শেষে বা আগামী বছরের জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তৃণমূল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা নাজমুল হুদা। তিনি ১৯৯১ ও ২০০১ সালে দুই দফায় খালেদা জিয়ার সরকারে মন্ত্রী ছিলেন। তবে ২০১২ সালে বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বিএনএফ নামে নতুন দল গঠন করেন। পরে সেই দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করেন দলটির প্রধান সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ। এরপর বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (বিএনএ) এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি (বিএমপি) নামে দুটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন নাজমুল হুদা। এরপর ‘তৃণমূল বিএনপি’ গঠন করেন তিনি।

আরও পড়ুন: নিবন্ধন পেলো নাজমুল হুদার তৃণমূল বিএনপি

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত