ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

গ্রেনেড হামলা মামলার রায় বাতিলের দাবি বিএনপির

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০১৮, ১৪:০০

গ্রেনেড হামলা মামলার রায় বাতিলের দাবি বিএনপির

২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় বাতিল করার দাবি জানিয়েছে বিএনপি। আজ রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার বিষয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা এই ভয়াবহ গ্রেনেড বোমা হামলার সুষ্ঠু বিচার চাই। তাই অবিলম্বে এই রায় বাতিল করতে হবে। সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ তদন্ত করে ন্যায় বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্ধীদের নিশ্চিহ্ন করার রায় ২১ আগষ্টের রায় মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই নিশ্চিহ্ন প্রক্রিয়ার অন্যতম টার্গেট বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। কোন রকম সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত ছাড়াই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং আক্রোশমূলক এই রায়ে জাতীয়তাবাদী শক্তির অন্যতম অগ্রনায়ক তারেক রহমানকে প্রহসনের বিচারে সাজা দেয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা এই রায়ের মাধ্যমে মূল দু’টি লক্ষ্য পূরণ করতে চাচ্ছেন। প্রথমত: শেখ হাসিনার শাসনামলে চারিদিকে যে নৈরাশ্যের ছবি মানুষ অবলোকন করছে সেখান থেকে দৃষ্টি ফেরানো এবং দ্বিতীয়ত: তারেক রহমানের ওপর প্রতিহিংসা চরিতার্থ করে জিয়া পরিবারকে হেয় করা।

রিজভী বলেন, ২০০৪ সালের ১৭ আগষ্ট মুক্তাঙ্গনে সমাবেশের জন্য আবেদন করে ১৯ তারিখ তারা পুলিশের অনমুতি কপি পেয়েছে। যার প্রমান ইতোমধ্যেই আমরা আপনাদের কাছে পেশ করেছি। অথচ শেখ হাসিনা বলেছেন-২০ আগষ্ট রাতে দরজার নিচ দিয়ে পুলিশ অনুমতি পত্র দিয়ে গেছে যা তারা দেখেনি। এ কথা নির্জলা মিথ্যা। কারণ ১৯ আগষ্টই অনুমতি দিয়েছিল পুলিশ। যদি মুক্তাঙ্গনে অনুমতি না পেতো তাহলে শেখ হাসিনা ২০ তারিখ বেরাইদের জনসভায় এ বিষয় নিয়ে কঠোর সমালোচনা করতেন। কিন্তু রহস্যজনকভাবে তিনি কিছুই বলেননি যা তার স্বভাব বিরুদ্ধ।

আওয়ামী লীগের মধ্যে এটা নিয়ে লুকোচুরি খেলা হয়েছে, যা গভীর রহস্যের জন্ম দিচ্ছে।

তিনি বলেন, পুলিশকে কোনো কিছু না জানিয়ে মুক্তাঙ্গন থেকে সমাবেশ অকস্মাৎ তাদের দলীয় অফিসের সামনে নেয়া হলো কেন। অথচ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে রায়ে সাজা দেয়া হলো। তারা সমাবেশের ভেন্যু সম্পর্কে পূর্বে ওয়াকিবহাল না হলে নিরাপত্তা দিবে কিভাবে? ২১ আগষ্ট হঠাৎ করে দুপুরে ভেন্যু পরিবর্তন খবর শোনার পরেও সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রচেষ্টা তারা করেছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ নিজেরাই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেয়ার কোনো স্পেস রাখেনি। এসব কিছুতে প্রমান হয়-তাদেরই কোন পক্ষ এই ঘটনার নাটেরগুরু। এই ঘটনা নিয়ে জনগণ ও সচেতন শ্রেণির মনে কিছু প্রশ্ন দানা বেঁধেছে। এসব প্রশ্নের উত্তর মিলবে কি?

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ২১ আগষ্টের ঘটনা, আওয়ামী লীগ নেতাকে দিয়ে পূণঃতদন্ত এবং সর্বশেষ আদালত কর্তৃক ফরমায়েসী রায়-এসব কিছুই প্রশ্নবিদ্ধ। জনগণ এসব কিছুই মেনে নেয়নি। এই প্রতিহিংসামূলক ফরমায়েসী রায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী মহাজোট সরকারের নিষ্ঠূর অবিচারের আর একটি দৃষ্টান্ত।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত