ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

সিইসির বক্তব্য অশুভ ইঙ্গিতবাহী: রিজভী

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৩:০২  
আপডেট :
 ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৩:১১

সিইসির বক্তব্য অশুভ ইঙ্গিতবাহী: রিজভী
ফাইল ছবি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা'র বক্তব্য অশুভ ইঙ্গিতবাহী বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার তৃতীয় কোনো শক্তির ষড়যন্ত্র বলে তার বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন। হঠাৎ তার এই বক্তব্য গভীর সন্দেহজনক ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

তিনি বলেন, সিইসি নিরপেক্ষ ও সহিংসতামূক্ত নির্বাচন চাইলে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিষ্ট্রেসী ক্ষমতা দিয়ে মাঠে নামাতে পারতেন। কিন্তু নামাননি। সরকারের নির্দেশে সেনাবাহিনীকে দর্শক হিসেবে রাখারই চেষ্টা চালাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। পুলিশ ও প্রশাসন ইসির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। পুলিশ ভোটের মাঠে এখন আওয়ামী লীগের লেঠেল বাহিনীর রুদ্রমূর্তিতে অবতীর্ণ হয়েছে। তাহলে কেনো এই অকল্পনীয় সহিংসতা ও পাইকারি গ্রেপ্তারের দায় সিইসি নিজে না নিয়ে এখন তৃতীয় শক্তির ষড়যন্ত্রের কথা বলছেন-তা রহস্যজনক দুরভিসন্ধি।

রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার ব্যর্থ পরিকল্পনায় ইসি বেসামাল হয়ে পড়েছে। এমন কোনো গভীর চক্রান্তে আওয়ামী সরকারই মেতে আছে, যা তারা নিজের মুখে না বলে সিইসি’র মুখ দিয়ে বলাচ্ছে। আওয়ামী অবৈধ সরকারের বশংবদ প্রধান নির্বাচন কমিশনার ৫ জানুয়ারির চেতনাকে ধারণ করেই আসন্ন নির্বাচন নিয়ে নোংরা নীল নকশা করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। গণমানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ার একটি ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচনেরই তিনি আয়োজন করছেন। এজন্য হঠাৎ করে তিনি তৃতীয় শক্তির ষড়যন্ত্রের কথা বলছেন। তার এই বক্তব্য অশুভ ইঙ্গিতবাহী। ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে জনদৃষ্টিকে সরানোর জন্যই তার এই বক্তব্যটি রহস্যঘেরা কুটিল চক্রান্তের আভাস মাত্র।

তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ফরমায়েশি রায়ের মাধ্যমে সাজা দিয়ে এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কোন দাবি না মেনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আরেকবার ২০১৪ সালের মতো জাতির সাথে প্রতারণাপূর্ণ আর একটি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে তারা ক্ষমতার মসনদে থেকে যাবার পাঁয়তারা করছে। সরকারের এই কু-কৌশল বিএনপিসহ ২০ দল এবং ঐক্যফ্রন্টের অন্যান্য সহযোগী দলগুলো উপলব্ধি করতে পেরে ন্যায় ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় আন্দোলনের অংশ হিসেবেই আমরা নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেই। এতেই মাথা খারাপের মতো আচরণ করতে শুরু করে সরকারি দল এবং তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো।

হামলা, মামলা ও গ্রেপ্তার বিষয়ে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, অবস্থাদৃষ্টে আমরা মনে করছি যে, জনসমর্থনহীন ও দিশেহারা এ সরকার আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনটি ভণ্ডুল করার লক্ষ্যেই এই উস্কানিমূলক আচরণগুলো করছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএস/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত