ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

সেনাবাহিনীকে ব্যারাকেই রাখা হবে, আশঙ্কা বিএনপির

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ১২:৩০

সেনাবাহিনীকে ব্যারাকেই রাখা হবে, আশঙ্কা বিএনপির

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গুঞ্জন আছে, সেনাবাহিনীর নামে কোন বরাদ্দ না দিয়ে তাদেরকে ব্যারাকেই রাখা হবে। এটি একটি অশুভ মহাপরিকল্পনার নির্বাচন না করারই পূর্বলক্ষণ।

বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ বাহিনীকে ৬৩ কোটি ২২ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা, আনসার বাহিনীকে ১৬৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা, কোষ্টগার্ডকে ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, বিজিবিকে ৩৩ কোট ২ লাখ এবং র‌্যাবকে ১০ কোটি ২০ লাখ টাকা অগ্রিম বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া গুঞ্জন আছে- সেনাবাহিনীর নামে কোন বরাদ্দ না দিয়ে তাদেরকে ব্যারাকেই রাখা হবে। এটি একটি অশুভ মহাপরিকল্পনার নির্বাচন করারই পূর্বলক্ষণ।

তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ন্যুনতম নিরপেক্ষ ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন চাইলে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে আজই মাঠে নামাতে হবে। নির্বাচন কমিশনের কাছে জোরালো দাবি পুলিশের সদর দপ্তরে বসে যারা কুপরিকল্পনা করছে, তাদেরকে অবিলম্বে সরিয়ে দিতে হবে।

সরকারের কারসাজিতে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, বাংলাদেশে সর্বগ্রাসী স্বৈরতন্ত্রে কোন প্রতিষ্ঠানই তার স্বাধীনতা রক্ষা করতে পারছে না। সরকারী সন্ত্রাসের প্রকোপে রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গগুলি স্বাচ্ছন্দে তাদের কর্তব্য পালন করতে পারছে না। মানুষের বেঁচে থাকার সকল অবলম্বনকে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এক ঘোর অন্ধকারের মধ্যে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ডুবে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, জনবিচ্ছিন্ন অবৈধ সরকার সারাদেশে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার দেখে পুলিশকে দিয়ে নির্বাচনে কারচুপির নীল-নকশা বাস্তবায়ন করতে মাঠে নেমেছে। পুলিশের সদর দপ্তরে দিনে রাতে দফায় দফায় বৈঠক চলছে। আমাদের কাছে বিশ্বস্ত সূত্রের মাধ্যমে খবর আছে, নৌকার বিজয় ছিনিয়ে দিতে পারলে পুলিশের এসি, এডিসি, ওসিদের প্রোমোশন এবং নগদ অর্থের প্রলোভন দেয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নির্দেশনা কার্যকরের তদারকী করার জন্য পুলিশ হেড কোয়ার্টারে মনিটরিং সেল খোলা হয়েছে। নির্বাচনকে কিভাবে আওয়ামী লীগের পক্ষে নেওয়া যায়, কীভাবে কারচুপি করা যাবে-সে বিষয়ে নীল নকশার সাধারণ সূত্র উদ্ভাবন করে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ ও র‌্যাবের কাছে পাঠানো হয়েছে।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ছাত্রলীগের বাছাই করা দশ হাজারের বেশী ক্যাডারকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে-ভোটের সময় ডিবি পুলিশের সাথে কাজ করার জন্য। আজ আমরা জানতে পেরেছি, ডিএমপি ডিবির জয়েন্ট কমিশনার, এডিসি ও তার অধিনস্থ এসি’দের বলেছেন যে, যদি তারা তাদের দায়িত্বাধীন কেন্দ্রে নৌকাকে বিজয়ী করতে পারে, তবে প্রত্যেকে পাঁচ লাখ করে টাকা দেয়া হবে। এটা ভয়াবহ উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার বিষয়।

কেএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত