বিএনপি-গণফোরাম হাতাহাতি
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে চরম হতাশ বিএনপি। এই হতাশার ছাপ পড়েছে সোমবার বিএনপি ও গণফোরামের নেতা-কর্মীদের বৈঠকে। নির্বাচন নিয়ে এক পর্যায়ে দুই দলের নেতাকর্মীরা হাতাহাতিতে লিপ্ত হন। সূত্র: আনন্দবাজার।
রোববারের নির্বাচনে এরশাদের জাতীয় পার্টি ও কয়েকটি ছোট দলকে নিয়ে শেখ হাসিনার মহাজোট পেয়েছে ২৮৮টি আসন। এর মধ্যে আওয়ামী লিগ জিতেছে ২৫৫ এবং জাতীয় পার্টি ২২টিতে। বিরোধী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৭টি আসনের মধ্যে খালেদা জিয়ার দল বিএনপি ৫টি এবং কামাল হোসেনের গণফোরাম ২টি আসন জিতেছে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে ক্ষমতাসীন দলের এই বিরাট জয়কে হাসিনা ‘উন্নয়ন ও দেশের অগ্রগতির পক্ষে এবং দুর্নীতি-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে মানুষের রায়’বলে ঘোষণা করেছেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অভিযোগ করে বলেছেন, ‘সাজানো নির্বাচনের ফল ভোটের আগেই ঠিক করে রাখা হয়েছিল।’ নিজের এলাকা ঠাকুরগাঁওয়ে পরাজিত হলেও খালেদা জিয়ার আসন বগুড়ায় বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন বিএনপির মহাসচিব।
বিএনপির জয়ী প্রার্থীরা সাংসদ হিসেবে শপথ না-নেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন বলে জানা গেছে। তবে শরিক গণফোরামের দুই জয়ী প্রার্থী শপথ নেবেন বলে জানিয়েছেন।
সোমবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকের পর এ নিয়ে বিএনপি ও গণফোরামের কর্মীদের মধ্যে প্রথমে ঝগড়া এবং পরে তা হাতাহাতিতে গড়ায়।
এদিকে সমস্ত বুথের ফল খতিয়ে দেখে গেজেট নোটিফিকেশনে নির্বাচনের সরকারি ফল প্রকাশ হতে আরও দু’-এক দিন লাগবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা ভোটে কারচুপির সব অভিযোগ উড়িয়ে দাবি করেছেন, সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে মানুষ ভোট দিয়েছেন। বিদেশি পর্যবেক্ষকরাও সারা দিন ভোটকেন্দ্রগুলিতে ঘুরে বেড়িয়ে সন্ধ্যায় চমৎকার ভোটের জন্য কমিশনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। হুদা জানান, ভোট পড়েছে প্রায় ৮০ শতাংশ।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনের পরদিনই ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে ফের ভোটের দাবি জানিয়েছিল। সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে হুদা জানিয়ে দেন, আবার ভোটের কোনও সুযোগ নেই।
সূত্র: আনন্দবাজার
এমএ/