ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে যাননি সুলতান-মোকাব্বির

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১৩:৪৮  
আপডেট :
 ০৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১৩:৫২

ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে যাননি সুলতান-মোকাব্বির

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও নির্বাচিত সদস্যরা গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জড়ো হচ্ছেন। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিভিন্ন নির্বাচিত এলাকার প্রার্থী ও নির্বাচিত ব্যক্তিরা গুলশানে আসতে শুরু করেছেন।

ইতিমধ্যে গুলশানে বিএনপির কার্যালয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রবসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত হয়েছেন। তবে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বৈঠকে থাকবেন কি না সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এদিকে বৈঠকে যোগ দেননি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী গণফোরামের দুই নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য। তারা হলেন মৌলভীবাজার-২ থেকে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ ও সিলেট-২ আসনে ঐক্যফ্রন্টের শরীক গণফোরামের নির্বাচিত প্রার্থী মোকাব্বির খান।

জানা গেছে বিএনপি শপথ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিতে চান সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় সব প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনে থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন ঐক্যফ্রন্ট মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এর আগে সীমাহীন অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিলো জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এ দাবিতে আজ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও তাদের প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি দেবে। এখান থেকেই পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবে জোটটি।

সদ্য সমাপ্ত ভোটের অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদাকে স্মারকলিপি দেবেন তারা।

এ ব্যাপারে ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষ নেতা নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সকাল ১০টায় গুলশানে ধানের শীষের প্রার্থীদের বৈঠক হবে। এরপর প্রতিনিধি দল যাবে নির্বাচন কমিশনে। সেখানে ভোটের অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে সিইসিকে স্মারকলিপি দেয়া হবে।

সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনে অংশ নেয়া ধানের শীষের প্রার্থীদের মুখ থেকে ভোটের অনিয়মের বর্ণনা শুনবে বিএনপির হাইকমান্ড। এরপর তাদের কাছ থেকে অনিয়মের প্রমাণগুলোও সংগ্রহ করা হবে।

প্রয়োজনে এসব নিয়ে আদালতে যাবেন প্রার্থীরা। ঢাকায় বিভিন্ন দেশের দূতাবাসেও অনিয়মের চিত্র নিয়ে একটি লিখিত কপি পাঠানো হবে। এছাড়া এ নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করবে।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত