ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

হিমঘরে সৈয়দ আশরাফ

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০১৯, ০৯:৪২

হিমঘরে সৈয়দ আশরাফ

প্রিয় দেশে শেষ শয্যায় শায়িত হতে শেষবারের মতো ফিরেছেন নিথর সৈয়দ আশরাফ। গোটা দেশকে শোকাহত করে ব্যতিক্রমী রাজনীতিক আশরাফ মারা গেছেন বৃহস্পতিবার রাতে। তার মৃত্যুর পর সর্বস্তরের মানুষের প্রতিক্রিয়াই বলে দেয়, মানুষের মনে তার স্থান ছিল কোথায়।

গতকাল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিমানের একটি নিয়মিত ফ্লাইট ‘মেঘদূতে’ এই রাজনীতিকের মরদেহ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়।

আশরাফের মরদেহ নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনমের ‘মেঘদূত’ উড়োজাহাজ শনিবার বিকেল সোয়া ছয়টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামে।

উড়োজাহাজ থেকে নামানোর পর মরদেহ গ্রহণ করেন সৈয়দ আশরাফের ভাই সাফায়েত উল ইসলাম। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা ছাড়াও সৈয়দ আশরাফের একমাত্র কন্যা রীমা আশরাফ উপস্থিত ছিলেন।

বিমানবন্দরেই আশরাফের কফিনে ফুল দেন আওয়ামী লীগের নেতারা। এই মুক্তিযোদ্ধার কফিন ঢেকে দেওয়া হয় জাতীয় পতাকায়। সেখান থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় মরদেহবাহী গাড়ি রওনা হয় তার ২১ বেইলি রোডের সরকারি বাসভবনের উদ্দেশে। রাতে সেখান থেকে নিয়ে রাখা হয় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের হিমঘরে।

জানাজা হবে তিন দফা, দাফন বনানীতে

আজ সকাল সাড়ে ১০টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সৈয়দ আশরাফের প্রথম জানাজা হবে। এরপর প্রিয় কিশোরগঞ্জে শেষবারের জন্য যাবেন আশরাফ। দুপুর ১২টায় শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে হবে জানাজা।

সেখান থেকে আশরাফকে নেওয়া হবে তার জন্মস্থান ময়মনসিংহে। বেলা দুইটায় ময়মনসিংহের আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে হবে তৃতীয় জানাজা। এরপর আশরাফের মরদেহ ঢাকায় আনা হবে। বাদ আসর বনানী কবরস্থানে তার দাফন হবে।

রাজনীতিতে আশরাফ

বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ১৯৯৬ সালে দেশে ফিরে কিশোরগঞ্জ সদর আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর গত ২২ বছর নিজ এলাকার প্রতিনিধিত্ব করেন।

মিষ্টভাষী এই রাজনীতিক প্রতিটি মুহূর্তেই বুঝিয়েছেন তিনি অন্য ধরনের মানুষ। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজনীতি করে আসা এই নেতার গায়ে এতটুকু দাগ লাগতে দেননি। এর মধ্যে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দেন তার মেধা ও প্রজ্ঞার প্রমাণ।

২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার মধ্যে শেখ হাসিনা গ্রেপ্তার হওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলের হাল ধরেন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ভূমিধস জয়ে রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। পরে হন দলের সাধারণ সম্পাদক। তবে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালনের পর নিজে থেকে ছেড়ে দেন ২০১৬ সালের শেষে।

কিশোরগঞ্জ সদর আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন সৈয়দ আশরাফ। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গত ৩০ ডিসেম্বরও তাকে বিপুল ভোটে জয়ী করেছে কিশোরগঞ্জ-হোসেনপুরের মানুষ। তার মৃত্যুর পর নিজ দলের পাশাপাশি শোক জানাচ্ছেন বিরোধী দল বিএনপির নেতাকর্মীরাও। রাজনীতিতে এটা বিরলই বলা যায়।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত