ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

বঙ্গভবনে যাননি ‘অভিমানী’ ইনু

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:৫৫  
আপডেট :
 ০৭ জানুয়ারি ২০১৯, ২১:৫০

বঙ্গভবনে যাননি ‘অভিমানী’ ইনু

বঙ্গভবনে ঢোকার জন্য দুপুরের পর থেকেই ভিড় জমছিল। প্রায় হাজার খানেক অতিথি আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার বেশ আগেই দরবার হল পরিপূর্ণ।

তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ এবং তাদের সমর্থক বিভিন্ন পেশাজীবী এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের সংখ্যাই বেশি। আর ছিলেন সামরিক-বেসামরিক আমলা এবং বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা।

আওয়ামী লীগের যে সিনিয়র নেতারা এবার মন্ত্রিসভায় ডাক পাননি, তাদের অনেককেই দেখা গেছে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে। সামনের দিকের কাতারেই বসেছিলেন সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, মতিয়া চৌধুরী। ছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী এ এম এম মুহিত।

মহাজোটের শরিক দলগুলোর মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাম্যাবাদী দলের দিলীপ বড়ুয়া এবং জাসদের শিরিন আখতারকে দেখা গেছে। তবে সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে দেখা যায়নি অনুষ্ঠানে। সাবেক এই তথ্যমন্ত্রীর জায়গায় এবার নতুন করে মন্ত্রী হয়েছেন ড. হাছান মাহমুদ। এর আগে দীর্ঘ ছয় বছর দলের প্রচার সম্পাদক হিসেবে দলের দায়িত্ব পালন করেছি তিনি।

তবে হাসানুল হক ইনু বঙ্গভবনে কেনো আসেননি তার কারণ জানা যায়নি। যদিও অনেকেই বলছেন মন্ত্রিত্ব হারিয়ে ‘অভীমান’ করেছেন সাবেক এই তথ্যমন্ত্রী। সেকারণে হয়তো বঙ্গভবনে দেখা যায়নি আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট এই নেতাকে।

এদিকে মন্ত্রিসভায় কেন মহাজোটের কোন শরিকদল থেকে কাউকে নেয়া হয়নি, সে প্রশ্ন উঠছিল রোববার তালিকা প্রকাশের পর থেকেই। কিন্তু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ইঙ্গিত দিলেন, মন্ত্রিসভায় তাদের অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা এখনো আছে।

মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের ইঙ্গিত ছিল তার কথায়, এখন হয়তো শরিকদের কেউ মন্ত্রিসভায় নেই, কিন্তু ভবিষ্যতে যে হবে না তা তো বলা যায় না। তিনি মনে করেন, নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম এবং শেষ কাজ হবে দলের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করা।

আওয়ামী লীগের প্রথম সারির ডাকসাইটে নেতারা যে মন্ত্রিসভায় জায়গা পাননি, সেটিকে খুব বেশি গুরুত্ব দিতে রাজী নন ওবায়দুল কাদের। তিনি এটিকে দেখছেন, নতুন করে দায়িত্ব বন্টন হিসেবে। কাউকে সরিয়ে দেয়া হয়নি বা বাদ দেয়া হয়নি। তারা দলের জন্য কাজ করবেন। দল গোছানোর কাজ করবেন।

তিনি আরও বলছেন, সরকার এবং দল যেন দুটি আলাদা সত্তা বজায় রেখে চলে, সেটাও হয়তো কাজ করেছে এরকম একটি মন্ত্রিসভা গঠনের পেছনে।

আরএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত